নাগরাকাটা: ভুটান থেকে ফিরতে গিয়ে দেরি! মাঝপথে আটকে গেল গজরাজের দল। তাও আবার একাধারে রেললাইন ও ১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া জায়গায়। ফলে উদ্বেগের শেষ ছিল না ডায়না রেঞ্জের বনকর্মীদের। পরে বিস্তর কসরতের পর তাঁরা হস্তিবাহিনীকে নির্বিঘ্নে পার করিয়ে জঙ্গলে ঢুকিয়ে দেন। বৃহস্পতিবার নাগরাকাটার ডায়না সড়ক সেতুর অদূরে ঘটনাটি ঘটে। রেঞ্জার অশেষ পাল বলেন, ‘মোট ১৬টি হাতি ছিল। দু দফায় ৮টি করে হাতিকে জঙ্গলে প্রবেশ করানো হয়। যেখানে আটকে পড়ে সেই এলাকাটি রাস্তা ও রেললাইন লাগোয়া থাকায় বাধ্য হয়ে দিনের বেলাতেই হাতিদের মুভ করাতে হয়েছে।’
এদিকে এদিন বিকেলে আবার জোড়া হাতি এসে দাঁড়িয়ে থাকে জলঢাকা সড়ক সেতু সংলগ্ন ১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের সামনেই। যথারীতি সকালে ডায়নার হাতিগুলির মতোই জলঢাকার হাতি দর্শনেও অত্যুতসাহীদের ভিড় লেগে যায়। থমকে যায় যানবাহন। পরে হাতি দুটি নিজেরাই জঙ্গলের গভীরে প্রবেশ করে।
গত এক মাস ধরে ডায়নার জঙ্গল থেকে বেরিয়ে খানাখন্দ, নর্দমা, রাস্তা, রেললাইন ও চা বাগান পেরিয়ে একপাল হাতির ডেস্টিনেশন হয়ে দাঁড়িয়েছে লুকসান চা বাগান ও লালঝামেলা বস্তি লাগোয়া ভুটান। বহাল তবিয়তে সীমান্তের ওপারে গিয়ে সেখানকার ধানখেত সাবাড় করে হাতিগুলি ভোরে ডেরায় ফেরে। ওই দৃশ্য দেখতে আবার সেইসময় ভিড় জমে যায় ফেরার রুট গ্রাসমোড় চা বাগানের চার নম্বর গেট কিংবা ধরনীপুর চা বাগানে। রেঞ্জারের বক্তব্য, ‘হাতির পালের গতিবিধির ওপর রোজ সতর্ক নজর রাখা হচ্ছে।’