Saturday, May 11, 2024
Homeরাজ্যউত্তরবঙ্গনির্মল গ্রাম চম্পাসারির রাস্তায় পড়ে আবর্জনা

নির্মল গ্রাম চম্পাসারির রাস্তায় পড়ে আবর্জনা

মাটিগাড়া: আবর্জনার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ শিলিগুড়ির চম্পাসারির বাসিন্দারা। কঠিন বর্জ্যের প্রক্রিয়াকরণ শুরু হলেও মিলছে না সঠিক পরিষেবা। সারাবছরই কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের তরফে খোলা জায়গায় আবর্জনা না ফেলার জন্য একাধিক প্রচার করা হয়। অথচ নির্মল গ্রাম হিসেবে পরিচিত চম্পাসারি গ্রাম পঞ্চায়েতে গেলেই দেখা যায় গলির মোড়ে কিংবা রাস্তার ধারে আবর্জনা পড়ে রয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, কঠিন বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ শুরু হবে বলে প্রায় দেড় বছর কাটিয়ে দেয় নতুন বোর্ড। এরপর ছ’মাস আগে একশো টাকার বিনিময়ে গৃহস্থের আবর্জনা গাড়িতে ফেলার সুযোগ করে দিলেও সবার পক্ষে এই টাকা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া রোজ আবর্জনার গাড়ি না আসায় সেই পরিষেবাও সঠিকভাবে মেলে না। ফলে সমস্যা সেই একই তিমিরে।

এবিষয়ে মাটিগাড়া পঞ্চায়েত সমিতির জনস্বাস্থ্য বিভাগের কর্মাধ্যক্ষ হরি শর্মা জানান, ছয়টি আবর্জনার গাড়ি নিয়েই এই পরিষেবা শুরু করেছে চম্পাসারি গ্রাম পঞ্চায়েত। তাই পুরো এলাকায় পৌঁছোতে সময় লাগবে। এছাড়া এই একশো টাকা নেওয়া হয় আবর্জনার গাড়ি চালকদের মাসিক পারিশ্রমিক দেওয়ার জন্য।

চম্পাসারি গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ২৬ জন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য। তবে বাড়িবাড়ি আবর্জনার গাড়ির সুবিধে পেয়েছে ছয়টি এলাকায়। বৃহস্পতিবার উত্তর পলাশের সুজয় দাস বলেন, ‘আবর্জনার গাড়ির পরিষেবা আমরা বন্ধ করে দিয়েছি। কারণ প্রতিমাসে একশো টাকা করে দেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।’ একই কথা চম্পাসারির কলাবস্তির স্থানীয়দের। তাঁদের কথায়, প্রথম মাসে গৃহস্থের আবর্জনা জমানোর জন্য ছোট ছোট দুটো ঝুড়ির বিনিময়ে একশো টাকা এবং আবর্জনা নিয়ে যাওয়ার একশো মিলিয়ে মোট দু’শো টাকা নিয়েছিল চম্পাসারি গ্রাম পঞ্চায়েত। অথচ সেই পরিষেবা দিতে ব্যর্থ তারা।

এদিন হিসেব করে দেখা যায় ছয়টি সংসদে আনুমানিক সাতশো পরিবার থাকলে দাঁড়ায় প্রায় ৪,২০০ পরিবার। যেখান থেকে আবর্জনার গাড়ির পরিষেবা থেকে মোট আয় হচ্ছে ৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। চম্পাসারি গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, ছয়জন কর্মীকে নয় হাজার টাকা বেতন দেওয়া হয়, দুজন কালেক্টরকে ছয় হাজার টাকা এবং একজন সুপারভাইজারকে পনেরো হাজার টাকা দেওয়া হয়। এছাড়া গাড়ির চার্জ মিলিয়ে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা পড়ে যায়। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে বাকি টাকা কী করছে গ্রাম পঞ্চায়েত?

এই বিষয়ে চম্পাসারি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান জনক সাহা বলেন, ‘বোর্ড মিটিং করেই এই টাকা ধার্য করা হয়েছে। আমাদের নিজস্ব কোনও ডাম্পিং গ্রাউন্ড নেই। তাই নকশালবাড়িতে সমস্ত আবর্জনা পাঠাতে প্রচুর খরচ পড়ে যায়। তবে মিলন মোড়ে ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরির কাজ চলছে। কাজ শেষ হলে একশো টাকার সংখ্যা কিছুটা কম হতে পারে।’

Sushmita Ghosh
Sushmita Ghoshhttps://uttarbangasambad.com/
Sushmita Ghosh is working as Sub Editor Since 2018. Presently she is attached with Uttarbanga Sambad Digital. She is involved in Copy Editing, Uploading in website and various social media platforms.
RELATED ARTICLES
- Advertisment -
- Advertisment -spot_img

LATEST POSTS

Akhil Giri | রাষ্ট্রপতির পর এবার রাজ্যপাল, বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্কে মন্ত্রী অখিল গিরি

0
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: রাষ্ট্রপতির পর এবার রাজ্যপাল। বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্কে রাজ্যের কারাগার মন্ত্রী অখিল গিরি (Akhil Giri)। তাঁর বক্তব্যের ভিডিও সোশাল মিডিয়ায়...

Naxalbari | নকশালবাড়িতে নজরকাড়া ফল অঙ্কিতা করের, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপিকা হওয়ার স্বপ্ন এই কৃতীর  

0
নকশালবাড়িঃ আর্থিক প্রতিকূলতাকে দূরে সরিয়ে মায়ের গৃহশিক্ষকতায় এবার উচ্চমাধ্যমিকে নজরকাড়া ফল করল নকশালবাড়ির ছাত্রী অঙ্কিতা কর। তিনি নকশালবাড়ি নন্দপ্রসাদ হাইস্কুলের ছাত্রী ছিলেন। তাঁর প্রাপ্ত...

Crime News | মা ও স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হলেন এক ব্যক্তি, এলাকায় নেমে...

0
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: পরিবারের সকলকে খুন (Murder) করে নিজে আত্মঘাতী হলেন এক ব্যক্তি। শনিবার এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের সীতাপুরে (Uttar pradesh)।...

Bengal Pro T20 League | শিলিগুড়ির অম্লানের সুরে মাতবে প্রো টি২০ লিগ

0
তমালিকা দে, শিলিগুড়ি: শিলিগুড়ির (Siliguri) অম্লানের সুরে মাতবে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। আগামী জুন মাসে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগ (Bengal Pro T20 League)।...

Alipurduar | বাড়িতে জৈব চাষে নজর কেড়েছেন প্রধান শিক্ষক

0
রাজু সাহা, শামুকতলা: পেশায় তিনি শিক্ষক। তাও আবার প্রধান শিক্ষক। সেই প্রধান শিক্ষকের গুরুদায়িত্ব সামলে বাড়িতে চাষ করছেন স্কোয়াশ, গাজর, বিট, বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রোকোলি,...

Most Popular