গাজোলঃ আদিবাসী অধ্যুষিত গাজোল-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের টিকাভিটা গ্রাম দত্তক নিলেন সাংসদ খগেন মুর্মু। রবিবার দুপুরে টিকাভিটা গ্রামকে দত্তক নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন সাংসদ। পাশাপাশি টিকাভিটা এবং রানীপুর গ্রামের ৭০ টি পরিবারের হাতে তুলে দিলেন সাড়ে ১০ কেজি ওজনের খাদ্য সামগ্রীর প্যাকেট। উন্নয়নের জন্য গ্রামকে দত্তক নিচ্ছেন সাংসদ, এই খবর পৌঁছতেই খুশির হাওয়া বয়ে যায় গ্রামবাসীদের মধ্যে। এদিন দুপুরে সাংসদ খগেন মুর্মু গ্রামে পৌঁছতেই আদিবাসী মহিলারা নাচ গানের মধ্যে দিয়ে বরণ করে নেন সাংসদকে। এরপর গ্রামে গিয়ে টিকাভিটা গ্রাম দত্তক নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন সাংসদ।
সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, “এখনও দেশের অনেক গ্রাম নানা ধরনের পরিষেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নির্দেশ দিয়েছে বিজেপির প্রতিটি সাংসদ নিজের সাংসদ এলাকার দুটি করে গ্রাম দত্তক নেবে এবং সেই গ্রামের উন্নতির জন্য সমস্ত রকমের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এই এলাকার বিজেপির যুব মোর্চার নেতা নীহার মণ্ডল আমাকে আবেদন জানিয়েছিলেন টিকাভিটা গ্রামটি দত্তক নেওয়ার জন্য। সেই অনুযায়ী এদিন আমি আদিবাসী অধ্যুষিত টিকাভিটা গ্রাম দত্তক নিয়েছি। পাশাপাশি রানীপুর গ্রামকেও এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সংসদ কোটার তহবিলের মধ্যে দিয়ে এই গ্রামের রাস্তাঘাট, পানীয় জল, বিদ্যুৎ পরিষেবার উন্নতির জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি এই সমস্ত গ্রামের যে সমস্ত বাসিন্দা এখনও পর্যন্ত আধার কার্ড বা র্যাশন কার্ড পাননি, সেগুলো তাদের পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। সবমিলিয়ে এই সমস্ত গ্রামের মানুষেরা যাতে সরকারি সমস্ত সুযোগ সুবিধা পেয়ে খুব ভালোভাবে জীবন কাটাতে পারে তার জন্য সমস্ত রকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিন এনটিপিসির পক্ষ থেকে ৭০ টি পরিবারের জন্য সাড়ে ১০ কেজি করে খাদ্য সামগ্রির প্যাকেট দেওয়া হয়েছে। সেগুলো প্রত্যেকটি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।