উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ৩ রাজ্যে বিজেপির জয়ের নিউক্লিয়াস তিনিই। রাজস্থানের বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া থেকে মধ্যপ্রদেশে শিবরাজ সিং চৌহান বা ছত্তিশগড়ের রমন সিং-রা একবাক্যে জয়ের কৃতিত্ব তাঁকেই দিয়েছেন। তিনি গেরুয়া শিবিরে এই মুহূর্তে একমেবদ্বিতীয়ম নেতা নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদি। বলতে দ্বিধা নেই বুথ ফেরত সমীক্ষা কিন্তু বিজেপিকে ৪৮ ঘন্টা আগেও হতাশ করেছিল। রাজস্থানে পালাবদলের ইঙ্গিত মিললেও ছত্তিশগড় নিশ্চিত ভাবেই কংগ্রেসের দখল করার কথা। আর মধ্যপ্রদেশে অধিকাংশ সমীক্ষাই কংগ্রেসকে এগিয়ে দেয়। যার জন্য গেরুয়া শিবিরের চিন্তা বেড়েছিল। কিন্তু রবিরার সকাল হতেই ছবিটা স্পষ্ট হয়ে যায়। দেখা যায় রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি। এমনকি ছত্তিশগড়ও ভূপেশ বাঘেলকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। এই ট্রেন্ড বেলা বাড়লেও আর পরিবর্তন হয়নি। তেলঙ্গনায় বিজেপি জেতেনি, সেই জয়ের প্রত্যাশাও ছিল না।
আর এই বিপুল সাফল্যের পর রবিরার সন্ধ্যায় নয়াদিল্লির বিজেপি সদর দপ্তরে পা রাখেন নরেন্দ্র মোদি। ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা-সহ অনেকেই। গেরুয়া কর্মী এবং সমর্থকেরা ভিড় জমান দপ্তরের সামনে। প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে চান তাঁরা । এদিন দলের সদর দপ্তর থেকে তিন রাজ্যের মানুষকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। “ভারত মাতা কি জয়। আওয়াজ যেন তেলেঙ্গানা পর্যন্ত যায়। আজ সততার জয়। আজ জনতার জয়। ’ এদিন বিজেপি কর্মীদের প্রশংসা করেছেন মোদি, বলেন বিজেপির কর্মকর্তাদের আজ প্রশংসা করব। আপনাদের কষ্টের ফল আজ আমরা পাচ্ছি। আমাদের সভাপতি নড্ডাজির রণনীতির জন্য এই জয়ের ভাগিদার তিনি। তাঁরও প্রশংসা প্রাপ্য।
বিপুল জয়ে নারীশক্তিকেও কৃতিত্বের ভাগীদার করেছেন মোদি। তিনি বলেন, কথায়, ‘নারীশক্তির উন্নয়ন ছিল বিজেপির অন্যতম লক্ষ্য। সেই চেষ্টা করে গিয়েছি। মহিলারা আশীর্বাদ করেছেন। দেশের সব মা-বোনকে বলছি, বিজেপি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, তা ১০০ শতাংশ পূরণ করব। এটা মোদীর গ্যারান্টি।’