প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়, বর্ধমান: চোর আর চুরি, এই নিয়ে প্রায়সই উত্তপ্ত হয় রাজ্য রাজনীতি। এমন আবহেই এবার চোর চুরি করে নিয়ে পালালো আস্ত একটা ট্যুরিস্ট বাস। তবে আধুনিক প্রযুক্তি সন্মন্ধে চোর বাবা জীবনের ধ্যান ধারণা যথেষ্টই কম ছিল। তাই ট্যুরিস্ট বাসটিতে থাকা গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম অর্থাৎ জিপিএস থেকে বাসটির বর্তমান অবস্থান জানতে বেশী সময় ব্যায় করতে হয় নি পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া থানার পুলিশকে। বাসটির অবস্থান জানার পরেই পুলিশ শনিবার রাতে নদীয়ার নবদ্বীপ রেল স্টেশন সংলগ্ এলাকায় হানা দিয়ে সেখান থেকে বাস অভিযুক্ত সুরত শেখকে গ্রেপ্তার করে। রবিবার ধৃতকে কাটোয়া মহকুমা আদালতে পেশ করে পুলিশ। বিচারক তাকে ৩ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে চুরির দায়ে ধরা পড়া নেতা মন্ত্রীদের মত এই বাস চোরকে দেখতেও এদিন কাটোয়া আদালতে বহু মানুষ ভিড় জমান।
চুরি যাওয়া ট্যুরিস্ট বাসটির মালিক কাটোয়া শহরের বাসিন্দা সুজয় খান নামে এক ব্যাবসায়ী৷ কাটোয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তাঁদের ট্রাভেল এজেন্সির অফিসও রয়েছে। শনিবার বিকেল ওই বাসটি এজেন্সির অফিসের সামনেই দাঁড় করানো ছিল। বিকেল চারটে নাগাদ হঠাৎ বাসটি উধাও হয়ে যায়। সুজয় খান বলেন, ‘আগে থেকেই বাসে জিপিএস লাগানো হয়েছিল। বাসটি উধাও হয়ে যাওয়ার পর জিপিএস খতিয়ে দেখে জানতে পারি যে বাসটি নবদ্বীপের দিকে যাচ্ছে৷ বাসটি চুরি হয়ে গেছে বুঝতে পেরে দেরি না করে আমি কাটোয়া থানায় গিয়ে পুলিশকে বিষয়টি জানাই।’ বাস মালিকের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসে কাটোয়া থানার পুলিশ। দ্রুত নবদ্বীপে হানা দেয় কাটোয়া থানার পুলিশের একটি দল। তাঁরা নবদ্বীপ রেলস্টেশন সংলগ্ন জোড়া ব্রিজের কাছে বাসটি দাঁড় করানো অবস্থায় দেখতে পায়। তারপর বাসটিকে ঘিরে রেখে পুলিশ ভিতরে ঢুকলে দেখে যে বাসের ভিতরেই বসে রয়েছে মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি থানার চককাকমারি গ্রামের বাসিন্দা সুরত শেখ। পুলিশ তাকে পাকড়াও করে। সূত্রের খবর সুরত শেখ বাস চুরির কথা স্বীকার করেছে।