শিলিগুড়ি: এ যেন উলটপুরাণ। কোনও তরফেই দুর্নীতি বা হিংসার অভিযোগ নেই। অথচ খোদ তণমূল কংগ্রেসের ব্লক সহ সভাপতি সদলবলে সিপিএম অফিসে গিয়ে লাল ঝান্ডা হাতে তুলে নিলেন। রবিবার তণমূলের টাউন তিন ব্লক সহ সভাপতি রাজেশ ছেত্রী সদলবলে সিপিএমে যোগদান করেন। এদিন ডনবস্কো রোডের সিপিএম অফিসে চলে এই দলবদল। এই প্রসঙ্গে রাজেশের বক্তব্য, দুই বছর আগে বহু মানুষকে সঙ্গে নিয়ে তণমূলে যোগ দেই। কথা ছিল মানুষের জন্য কাজ করতে পারবো। কিন্তু আমাদের ৪২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর একেবারেই মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করেন না। এলাকায় কোন উন্নয়নের কাজও হচ্ছে না। জনগন জবাব চাইছে, কিছু বলতে পারছি না। সেই কারণেই সরকারি দলের সোনার মুকুট ছেড়ে বিরোধী দলের কাঁটার মুকুট মাথায় নিতে চাইছি। সহ সভাপতির পদে থেকেও দলে এসব বিষয় জানিয়ে কোনও সুরাহা হয়নি বলেই অভিযোগ রাজেশের।
জবাবে ওয়ার্ড কাউন্সিলর শোভা সুব্বা বলেন, ‘আমি সংবাদ মাধ্যম থেকেই ওঁর দল বদলের বিষয়টি জেনেছি। কেন এরকম করেছে জানি না। ও তো দলেও গুরুত্বপূর্ণ জাযগায় ছিল।’ ব্লক সভাপতি ও শিলিগুড়ি পুরনিগমের মেয়র পারিষদ দুলাল দত্তর কথায়, শেষ বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজেশ কিছু লোক সঙ্গে নিযে সিপিএম ছেড়ে আমাদের দলে আসেন। তবে তিনি দলে তেমন সক্রিয় ছিলেন না। হয়তো বাম ঘরানার হওয়াতে এখানে সখ্যতা গড়ে তুলতে পারেননি। দলের কোনও লাভ হয়নি, চলে যাওয়াতেও কোনও ক্ষতি হবে না।’
অন্যদিকে, বিষয়টিকে মানুষের অভিজ্ঞতা হিসেবেই দেখছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জীবেশ সরকার। তাঁর বক্তব্য, শুধু এই ওয়ার্ড নয়, গোটা শিলিগুড়িতেই পুরনিগম উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোন দিশা দেখাতে পারেনি। ফলে মানুষ নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই তাঁদের দলে ফিরে আসছে। এদিন কোনওরকম বিক্ষিপ্ত ঘটনা এড়াতে আগে থেকেই সিমিএম পার্টি অফিসের বাইরে ভক্তিনগর থানার পুলিশকে উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে। কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সিপিএম নেতা দিলীপ সিং, মুন্সি নুরুল ইসলাম সহ অনেকেই। এদিন সিপিএমের তরফ থেকে এলাকায় একটি মিছিলও বের করা হয়।