ধূপগুড়িঃ ফের লোকালয়ে হানা দিল চিতাবাঘ। ঘটনাটি ধূপগুড়ি ব্লকের দক্ষিণ কাঠুলিয়া এলাকার। এই ঘটনায় আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে চিতাবাঘটি কোন জঙ্গল থেকে এবং কবে লোকালয়ে ঢুকে পড়ল তা নিয়ে সন্দিহান স্থানীয়রা। এমনকি চিতাবাঘের হানায় দুজন আহতও হয়েছে বলে খবর। আহতদের মধ্যে একজনকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ কাঠুলিয়া এলাকার একটি ছোট চা বাগানে চিতাবাঘটিকে প্রথম দেখতে পান চা শ্রমিকরা। বিষয়টি জানাজানি হতেই মুহূর্তের মধ্যে গোটা এলাকায় চিতাবাঘের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আবার বেশ কিছু মানুষ চিতাবাঘের খবর পেয়ে চাবাগানে ভিড় জমান। ভিড় জমতে দেখে ভয়ে চিতাবাঘটি চা বাগানের নালায় ঘাপটি মেরে বসে থাকে। সেই সময় আচমকাই এক যুবকের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে চিতাবাঘটি। হামলা চালিয়ে ফের চা বাগানে ঢুকে যায়।
আহত যুবক জয়ন্ত রায় বলেন, ‘চিতাবাঘ বের হওয়ার খবর পেয়ে দেখতে গিয়েছিলাম। সেখানে আচমকাই আমার উপর হামলা চালায় চিতাবাঘ। এতে কোমরে এবং পেটে আঘাত লাগে।’ অপর এক বাসিন্দা বিষ্ণুপদ রায় বলেন, ‘চা বাগানের শ্রমিকরাই প্রথমে চিতাবাঘ দেখতে পাওয়া যায়। ফলে আমরা আতঙ্কের মধ্যেই আছি।’
এদিকে চিতাবাঘের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ। খবর দেওয়া হয় বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াড সহ মোরাঘাট রেঞ্জকে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে বনদপ্তরের কর্মীরা চা বাগান এলাকায় তল্লাশি চালিয়েও সন্ধান পায়নি চিতাবাঘের। বনদপ্তরের তরফে গোটা চা বাগান জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়। বিষয়টির গুরুত্ব বুঝে সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে আসে বনদপ্তরের খুনিয়া, নাথুয়া, মোরাঘাট রেঞ্জ ও বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াডের বিশাল বাহিনী। ছোট চা বাগান হওয়ায় পুরোটাকেই জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা সম্ভব হয়েছে। প্রয়োজনে চাবাগানটিতে খাঁচা পাতারও পরিকল্পনা রয়েছে বনদপ্তরের। এখনই অবশ্য এবিষয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় নি। পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াডের বনকর্মীরা। অনুমান করা হচ্ছে মোরাঘাট জঙ্গল থেকে কোনও ভাবে লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে চিতাবাঘটি। তবে নিশ্চিত ভাবে এব্যাপারে বনদপ্তর কিছুই বলতে চাইছে না।