চ্যাংরাবান্ধাঃ রাত দশটার পর এলাকায় অপরিচিতদের আনাগোনা বন্ধ করা হোক। নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে এমনই দাবি নিয়ে পুলিশের দারস্থ হলেন কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধার যৌনপল্লীর বাসিন্দারা। চ্যাংরাবান্ধার এই যৌনপল্লী এলাকাটি রয়েছে বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া। পাশেই ধরলা নদী। এই এলাকায় রয়েছে উন্মুক্ত সীমান্ত অর্থাৎ এখানে কাঁটাতারের বেড়া নেই। এই উন্মুক্ত সীমান্ত দিয়ে গোরু পাচারসহ চোরাচালানের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। বাংলাদেশ থেকেও দুষ্কৃতীরা রাতের অন্ধকারে বাংলাদেশ সীমান্ত পেড়িয়ে এই খোলা সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢুকে পড়ে। এই অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের অনেকেই এই যৌনপল্লী এলাকায় ঘাঁটি গেড়ে থাকতে পারে বলেও বিভিন্ন মহল থেকে মাঝেমধ্যেই সন্দেহ করা হয়ে থাকে। এই অবস্থায় নিরাপত্তার স্বার্থে এবার রাত দশটার পর এলাকায় স্থানীয় ছাড়া বাইরের মানুষদের প্রবেশ বন্ধ হোক এটা চাইছেন এই এলাকার মানুষরাই। ইতিমধ্যেই তারা বিষয়টি জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং পুলিশকেও।
নব গঠিত চ্যাংরাবান্ধা যৌনপল্লী কমিটির সম্পাদিকা জ্যোৎস্না বিবি বলেন,”রাত দশটার পর এলাকায় অপরিচিত কোনও মানুষের আগমন ঘটলে পুলিশ তাদের ধরে নিয়ে গেলে এনিয়ে আমাদের কোনও রকম আপত্তি থাকবেনা। প্রায়ই অনেক রাতে বাইক ও গাড়ির শব্দে আমাদের ঘুম ভেঙে যায়। এটা বন্ধ করতে হবে। এলাকায় সুষ্ঠ পরিবেশ এবং নিরাপত্তার কথা ভেবেই কমিটিও তৈরী করা হয়েছে।” মেখলিগঞ্জ পুলিশের এসডিপিও অরিজিত পাল চৌধুরী অবশ্য জানিয়েছেন,”এনিয়ে এখনও লিখিত কোনও কিছু পাইনি। পেলে সেটা খতিয়ে দেখে যথাযথ পদক্ষেপ করা হবে।”