ইসলামপুর: অভিষেক ও কুণালকে নিয়ে বিস্ফোরক ইসলামপুরের বিধায়ক করিম চৌধুরী। অভিষেককে ‘নাদান’ আর কুণালকে ‘ননসেন্স’ বলে কটাক্ষ করলেন দলেরই প্রবীণ বিধায়ক। একধাপ এগিয়ে তিনি বলেন, ‘কুণালকে আগেই বহিষ্কার করা উচিত ছিল।’ নবীন প্রবীণ দ্বন্দ্বে যখন সরগরম তৃণমূল শিবির, ঠিক তখনই দলের দুই প্রধান মুখকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে এই বিতর্কে করিম চৌধুরী আরও ঘি ঢাললেন বলেই মনে করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমের সামনে করিমের অকপট স্বীকারক্তি, ‘কুণাল ঘোষকে মুখপাত্র হিসাবে অনেক কথা বলতে দেখেছি। আমাদের মমতাদির উচিত ছিল সঙ্গে সঙ্গে ওকে বহিষ্কার করা, সরিয়ে দেওয়া। ও একটা ‘ননসেন্স’ লোক। প্রবীণদের ছাড়া বাংলা কেন, কোনও রাজ্য, দেশও চলবে না। যিনি ‘সেনাপতি’ হয়েছে না? আমি আগেই বলেছিলাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে, বাচ্চা আছে, নাবালক আছে। আপনি সঙ্গে রাখুন। কিন্তু পুরো ক্ষমতা কখনও দেবেন না।’
করিমের এই মন্তব্যের পর কুণাল বলেন, ‘ওনার জন্য আমার শুভকামনা রইল। উনি দেড়শো বছর বিধায়ক থাকুন। আর আমাকে সরাতে হলে উনিই একটা চিঠি পাঠিয়ে দিন না মুখ্যমন্ত্রীকে।’ উল্লেখ্য, করিমের সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব তৈরি হয়েছিল অনেক আগেই। পঞ্চায়েত নির্বাচন, অভিষেকের ‘জনসংযোগ যাত্রা’ এবং ইসলামপুরে দলীয় কোন্দলে এক সিভিক ভলান্টিয়ার খুনের ঘটনায় দলের একাংশের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তিনি। আবার ইসলামপুর ব্লকের সভাপতির নাম ঘোষণা হওয়ার পর দল ছাড়ারও হুমকি দিয়েছিলেন। যদিও তৃণমূল শিবির করিমের এই ‘বিদ্রোহী’ মনোভাবকে খুব একটা পাত্তা দিতে নারাজ।