শুভ্রজিৎ বিশ্বাস, মেখলিগঞ্জ: গোরু পাচারের (Cow smuggling) স্বর্গরাজ্য মেখলিগঞ্জ (Mekhliganj) ব্লকের নিজতরফ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকা। বৃহস্পতিবার সকালে গোরু পাচারকারীদের হাতে আহত হয়ে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু ঘটে ২৫ পয়স্তির বাসিন্দা সাহেবা বিবির (৫৬)।
মেখলিগঞ্জ থানায় (Mekhliganj police station) লিখিত অভিযোগ দায়ের করে সাহেবা বিবির পরিবার। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাস্থলে পুলিশ এলেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এলাকার বাসিন্দারা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। শুক্রবার বিরাট পুলিশবাহিনী এলাকায় মোতায়েন ছিল। সাহেবা বিবির দেহ এদিন বিকেলে ময়নাতদন্তের পর বাড়িতে আনা হয়।
সাহেবা বিবির স্বামী সাত্তার আলি বলেন, ‘আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। অপরাধীদের সাজা চাই। প্রতিদিন রাতে গোরু পাচারকারীদের কারণে আমাদের চাষের জমি পাহারা দিতে হয়। পুলিশ নিজের কাজ করলে আমাদের আর চাষের জমি পাহারা দিতে হবে না।’ স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল মহম্মদ বলেন, ‘পুলিশ কোনও দায়িত্ব নিচ্ছে না। আমাদের চাষের খেত নষ্ট করছে পাচারকারীরা।’
আরেক বাসিন্দা সুভাষচন্দ্র পোদ্দার বলেন, ‘পুলিশ নিজের দায়িত্ব পালন করছে না। যার জন্য আমাদের রাতে ফসল নষ্ট হবার ভয়ে পাহারা দিতে হয়।’ ওই এলাকার ৯৫ নম্বর বুথের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যা ফতেমা বিবি বলেন, ‘পুলিশ যাতে এই বিষয়ে সতর্ক হয় সেটাই আমরা চাই। আনুমানিক দশ-পনেরো বছর ধরে এলাকা দিয়ে গোরু পাচার হচ্ছে। চাষের খেত নষ্ট হয়। গ্রামের মানুষকে পাহারা দিতে হয়। পাহারা দিতে গিয়ে এই ধরনের একটা দুর্ঘটনা ঘটে গেল।’ মেখলিগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পম্পা বর্মন রায় বলেন, ‘বিএসএফ ও পুলিশের সঙ্গে বসে এই গোরু পাচার যাতে বন্ধ করা যায় সেই ব্যবস্থা নেব।’
মেখলিগঞ্জ মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অরিজিৎ পালচৌধুরী বলেন, ‘এর আগে প্রচুর কেস করা হয়েছে। মেখলিগঞ্জ পুলিশের যেটুকু ফোর্স আছে সেই ফোর্স নিয়ে আমাদের তীব্র কুয়াশার মধ্যেও অভিযান চালাচ্ছি। বিএসএফের তরফেও করা হচ্ছে। এই বিষয়ে নির্দিষ্ট অভিযোগ জমা পড়েনি। ওখান থেকে তিনদিন আগে গোরু বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।’