নকশালবাড়ি: ফের নকশালবাড়ি ব্লকের হাতিঘিসা মুড়িবস্তিতে জাতীয় সড়কের পাশে কৃষিনালা দখল করে চলছে নির্মাণকাজ। এই সেচনালা দখলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন বাসিন্দারা। ইতিমধ্যে নকশালবাড়ি ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরকে বাসিন্দারা নির্মাণকাজ বন্ধের জন্য লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেয়নি ভূমি দপ্তর। কেন ওই নির্মাণ নিয়ে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না, সেই নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। যদিও নকশালবাড়ি ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিক বিপ্লব হালদার জানান, মুড়িবস্তির কাছে কৃষিনালা দখলের অভিযোগ জমা পড়েছে। অফিস খুললেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গতবছর জুন মাসে হাতিঘিসার মুড়িবস্তিতে রাস্তা দখল নিয়ে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে বিবাদ দেখা দিয়েছিল। এই ঘটনায় মুড়িবস্তির প্রায় ৫০টি বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেইসময় বিজয়নগর চা বাগানের বাসিন্দারা ব্লক ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে রাস্তা দখলমুক্ত করার দাবি তুলেছিলেন। কিন্তু রাস্তা দখলমুক্ত করা না হলেও ওই এলাকায় কৃষিনালা দখল শুরু হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ আশরাফ, সীতা লাকড়া, রঞ্জিত ওরাওঁদের অভিযোগ, হাতিঘিসা গ্রাম পঞ্চায়েতের মুড়িবস্তির কাছে বিজয়নগর মোড়ে কৃষিনালা দখল করে সাত থেকে আটটি দোকানঘর নির্মাণের কাজ চলছে। যা নিয়ে এলাকায় ফের ক্ষোভ বাড়ছে। কৃষিনালা দখলমুক্ত করার জন্য প্রশাসনের কাছে দ্বারস্থ হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এলাকার এই কৃষিনালা দিয়ে হাতিঘিসার একাধিক সংসদে কৃষিকাজ হয়। বর্ষাকালে এই নালা দিয়ে জল কৃষিজমিতে পৌঁছায়। কিন্তু এশিয়ান হাইওয়ের পাশে অবস্থিত এই নালার উপর জমি মাফিয়াদের টার্গেট দীর্ঘদিন ধরে। গত কয়েক বছর ধরে এই নালার উপর একাধিক বাড়িঘর, দোকানপাট নির্মাণ করা হয়েছে। ওই নির্মাণগুলির জন্য এলাকার জলনিকাশি ব্যবস্থা ব্যাহত হয় বলে বহুবার অভিযোগ জানান বাসিন্দারা। কিন্তু প্রশাসন কোনওবারেই কোনও পদক্ষেপ করেনি।
যদিও নকশালবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আসরফ আনসারি জানান, কৃষিনালার এক পাশে এশিয়ান হাইওয়ে টু এবং অপর পাশে রয়েছে রেললাইনের জায়গা। মাঝখান দিয়ে চলে গেছে কৃষিনালা। এই কৃষিনালাতে ভুয়ো খতিয়ান বানিয়ে বাম আমলে জমি বিক্রি করা হয়েছে। এখন কৃষিনালা বন্ধ হয়ে গেলে এলাকায় আবার বিক্ষোভ শুরু হতে পারে। তাই তাঁরা প্রশাসনকে বলেছেন দ্রুত ব্যবস্থা নিতে।