পূর্ণেন্দু সরকার, জলপাইগুড়ি: নেপাল থেকে কাঁকরভিটা দিয়ে চাইনিজ ডিম (Chinese egg) শিলিগুড়ি হয়ে জলপাইগুড়ি জেলায় ঢুকছে। চিনের ডিম খাওয়ার অযোগ্য। কিন্তু সাধারণ ডিমের সঙ্গে চিনের ডিমের পার্থক্য বোঝা কঠিন। বাড়িতে আনার পর সেদ্ধ না করা পর্যন্ত বোঝা মুশকিল। দার্জিলিংয়ের বিশ্বখ্যাত কমলালেবু (Orange) বলে নাগপুরের কিনো, ভুটানের কমলালেবু বিক্রি করা হয়। কীভাবে এইসব নকল খাদ্যসামগ্রী চেনা যাবে তা নিয়ে মঙ্গলবার থেকে আইটিপিএ প্রাঙ্গণে শুরু হওয়া শ্রমিক মেলায় স্টল খুলে প্রচার শুরু করেছে জলপাইগুড়ি জেলা উপভোক্তা বিষয়ক দপ্তর। মেলা শেষ হতেই জেলাজুড়েই নকল, রং করা খাদ্যসামগ্রী বিক্রি বন্ধ করতে অভিযান শুরু করা হচ্ছে বলে জানান জেলা উপভোক্তা বিষয়ক দপ্তরের সহকারী অধিকর্তা দেবাশিস মণ্ডল।
সম্প্রতি জেলার রাজগঞ্জ (Rajganj) ব্লকের ফুলবাড়িতে নেপাল থেকে আনা চিনের পোলট্রি ডিম খেয়ে বেশ কয়েকজন অসুস্থ হন। কেনার সময় বোঝাই যাচ্ছে না কোনটা সাধারণ পোলট্রি, কোনটি চিন থেকে আনা প্লাস্টিক ডিম। বেআইনিভাবে আনা সেই ডিমের ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ক্রেতা সুরক্ষা আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আপাতত বিদেশ থেকে বেআইনিভাবে আনা ডিম বন্ধ করা গিয়েছে। কিন্তু অসাধু ব্যবসায়ীরা অন্য পথে ফের আনতেই পারে। তাই বিভিন্ন মেলা, হাটবাজারে প্লাস্টিক ডিম নিয়ে প্রচার করা শুরু হয়েছে। এই চিনের প্লাস্টিক ডিম সেদ্ধ করার পর সাদা খোলসের মতো তিনটি প্লাস্টিকের স্তর পাওয়া যায়। কুসুম নকল, খাওয়ার অযোগ্য। সেকথাই বোঝানো হচ্ছে। অন্যদিকে নাগপুরের কিনোকে দার্জিলিংয়ের কমলালেবু বলে তুলে ধরে ক্রেতাদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। কয়েকজন ক্রেতার নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তর থেকে। এখন দেখতে বড় কিন্তু খেতে টক ভুটানের কমলালেবুকে বেশি দামে দার্জিলিংয়ের কমলালেবু বলে প্রচার করা হচ্ছে। এদিন স্টলে দার্জিলিং, ভুটানের কমলালেবু ও নাগপুরের কিনো রেখে মানুষকে বোঝানো হয় আসল-নকল। ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের সহকারী অধিকর্তা দেবাশিস মণ্ডল বলেন, ‘খুব শীঘ্রই জেলাজুড়ে ভেজাল খাদ্যসামগ্রীর বিরুদ্ধে জোরদার অভিযান শুরু করা হবে।’