বালুরঘাটঃ সীমান্তে বিএসএফকে (BSF) কার্ড ইস্যু করতে দেবেন না। যারা এপার থেকে ওপারে চাষের জন্য যায় তাঁদের উপরে বিএসএফ অত্যাচার করে। জেলাশাসক আপনি নিজে কার্ড ইস্যু করুন। কারণ ওদেরকে কার্ড ইস্যু করতে দিলে ওনারা এপারের লোককে ওপারে, ওপারের লোককে এপারে ভাগিয়ে দেবে। এটা ওদের একটা প্ল্যান। আমি খবর পেয়েছি বিএসএফ সীমান্তে অনেক অত্যাচার করে। ওরা ভোটের সময় লাইন ম্যানেজ করে। এবারে ওদের এই ম্যানেজ করতে দেব না। যদি ওরা তা করে, তাহলে ভোট চলে যাবে, কিন্তু আমরা থাকব। আমরা এসব মনে রাখব। এদিন বালুরঘাটের স্টেডিয়ামে (Balurghat Stadium) বক্তব্য রাখতে গিয়ে সীমান্ত সমস্যা ও এনআরসি নিয়ে বিএসএফকে এই ভাষাতেই আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। এর পাশাপাশি তিনি ঘোষণা করেন এনআরসি আমরা রুখবই। আমরা এনআরসি বাংলায় করতে দেব না।
এদিকে কেন্দ্র সরকার রাস্তা, ১০০ দিনের টাকা আবাস যোজনার টাকা দিচ্ছে না বলেও এদিনও অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি বলেছেন কেন্দ্রীয় সরকার মিথ্যে কথা বলে। ‘জল ধরো জল ভরো’ প্রকল্পের নাম করে রাজ্যে জল দিচ্ছে বলে দাবি করতে শুরু করেছে। কিন্তু আদতে আমরাই জমি দিচ্ছি। পাইপ বসানোর জমি, রক্ষনাবেক্ষন আমরা করছি। আর মাত্র ২৫ শতাংশ টাকা দিয়ে ওঁরা নিজেদের বলে ক্রেডিট নিতে চাইছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আজকের সভার পরেই দক্ষিণ দিনাজপুরের প্রায় দুই লক্ষ মানুষ বিভিন্ন পরিষেবা পাবেন। কন্যাশ্রী, বার্ধক্য ভাতা সহ নানা পরিষেবা পাওয়া যাবে।
এদিনের মুখ্যমন্ত্রীর সভার সঞ্চালক হিসেবে ছিলেন আইজি প্রসুন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এদিন দক্ষিণ দিনাজপুরের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর যোগাযোগের সূত্র তুলে ধরেন। সেই সূত্র ধরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কুমারগঞ্জে যখন ছাত্র হত্যা হয়েছিল, সেই মামলায় আমি বালুরঘাটে এসেছিলাম। নিজে মামলা লড়েছি। আগে বালুরঘাটে খুব বন্যা হত। তখনও এসেছি। এখন আমরা বন্যা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছি।
এদিন সভা থেকে রাজ্যের প্রদান করা বিভিন্ন পরিষেবার নামগুলি বলে উপস্থিত জনতার মধ্যে সেগুলির প্রচার চালান। মুখ্যমন্ত্রী পাশাপাশি তিনি এদিন স্বাস্থ্য ও শিক্ষা বিদ্যুৎ সহ নানা পরিষেবারও শিলান্যাস ও উদ্বোধন করেন। সব মিলিয়ে প্রায় ২০০ কোটি টাকার প্রকল্পের শিলান্যাস বা উদ্বোধন মুখ্যমন্ত্রী করেন। তবে এদিনও মেডিকেল কলেজ বা অন্যান্য নতুন কোন পরিষেবা ঘোষণা না করায় হতাশ জেলাবাসী।