বর্ধমানঃ রাতে সরকারি হাসপাতালে এক্স-রে (X-Ray) না হওয়ায় উষ্মা প্রকাশ করলেন গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী (Siddikulla Chowdhury)। মঙ্গলবার সকালে শৌচাগার থেকে বের হওয়ার সময় পরে গিয়ে চোট পান মন্ত্রী। তাঁর ডান পায়ের কনিষ্ঠ আঙুলে আঘাত লাগে। সন্ধ্যা হতেই ব্যথা ক্রমশ বাড়তে থাকায় তিনি চিকিৎসার জন্য যান পূর্ব বর্ধমানের মেমারী গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা দেখার পর জানান এক্স-রে করার প্রয়োজন আছে। এরপর মন্ত্রী এক্স-রে করার ইচ্ছা প্রকাশ করতেই হাসপাতালের পক্ষ থেকে তাঁকে জানানো হয়, হাসপাতালে ওপিডি-র সময় এক্স-রে হলেও রাতে এক্স-রে করার কোনও ব্যবস্থা নেই। এতেই বেশ চটে যান গ্রন্থাগার মন্ত্রী। তিনি বলেন, “এতবড় হাসপাতালে রাতে এক্স-রে হয় না, আমার জানাই ছিল না।”
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মেমারি গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গিয়ে তাঁর পায়ের আঙুলের এক্স-রে করাতে না পেরে হতাশা ব্যক্ত করেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী গাড়িতে চাপার সময় কিছুটা বিস্ময় প্রকাশ করেই বলেন, “এতবড় হাসপাতালে রাতে এক্স-রে হয় না এটা আমার জানাই ছিল না। আমি চেষ্টা করব যাতে মানুষের সুবিধার্থে রাতেও এক্স-রে করার ব্যবস্থা করা যায় এই হাসপাতালে।” পাশাপাশি তিনি বলেন, রাজ্যে এখন ৪২ টি সুপার স্পেশালিষ্টি হাসপাতাল তৈরি হয়েছে। চিকিৎসকরা চেষ্টা করে যাচ্ছেন ভালো পরিষেবা দেওয়ার।
রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগের মধ্যেই খোদ মন্ত্রীর এই মন্তব্যে শোরগোল পড়ে গেছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। সুযোগ পেয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়ে নি বিরোধীরা। বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, “যেখানে রাজ্যের মন্ত্রীর এক্স-রে হাসপাতালে হয় না, তাঁকে ফিরে যেতে হয়, সেখানে সাধারণ মানুষের কি হাল হয় তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।”