উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ ইডি হেপাজতে কিছুই খাচ্ছেন না ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। বুধবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তাঁকে পেশ করার পর এমনটাই দাবি করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। কিছু না খেলে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডির আইনজীবী বিচারককে জানান, উনি কিছু না খেলে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। সেই অসুস্থতার অজুহাতে জিজ্ঞাসাবাদ এড়িয়ে যাওয়ার একটা সুযোগ থাকবে তাঁর কাছে। এর ফলে ব্যাহত হবে তদন্ত প্রক্রিয়া।
টানা ১২ ঘন্টা জেরার পর নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে মঙ্গলবার রাতে সুজয়কৃষ্ণকে গ্রেপ্তার করে ইডি। গ্রেপ্তারির পর থেকেই কিছু মুখে তুলছেন না সুজয়কৃষ্ণ। বুধবার স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য তাঁকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল চত্বরে ‘চোর’ ‘চোর’ শ্লোগান দিতে দেখা যায় কালীঘাটের কাকুকে লক্ষ্য করে। আদালতে ইডির তরফে জানানো হয়, না খাওয়ার কারণে সুজয়কৃষ্ণ অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন, এই আশঙ্কায় স্বাস্থ্যপরীক্ষাতেও বিলম্ব হয়েছে।
আদালতে ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি জানান, যে সব মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, সেখান থেকে বহু তথ্য পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু ফোন থেকে বেশ কিছু তথ্য মুছে ফেলা হয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার সঙ্গে সুজয়কৃষ্ণের যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছে। এই বিষয়ে আরও তথ্য সংগ্রহ করতে ‘কালীঘাটের কাকু’কে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন বলে মনে করছে তদন্তকারী সংস্থাটি। তাই বুধবার সুজয়কৃষ্ণকে ১৪ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আদালতের কাছে আর্জি জানিয়েছেন ইডির আইনজীবী।
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। সুজয় এক সময় অভিষেকের অফিসে কাজ করতেন। ‘কাকু’র সঙ্গে সংযোগ রয়েছে এমন ৩টি সংস্থাতেও তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। সেই সংস্থার মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করা হয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।