বন্ধুত্বের বার্তা দিয়ে সরস্বতী পুজোর আয়োজন চাঁচলে

চাঁচল: সালটা তখন ২০১৪। ডিজিটাল যুগ শুরু হওয়ার আগের প্রাক মুহূর্ত। সেই সময় ওরা উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেছিল। স্কুল জীবন শেষ হওয়াই সকলে এদিক-ওদিক ছড়িয়ে যায়।  কিন্তু সেই ব্যাচের এক দুইজন বুঝতে পেরেছিল ডিজিটাল যুগে বন্ধুত্ব আরো ফিকে হয়ে যাবে। বন্ধুদের হারিয়ে ফেলার ভয় ছিল তাঁদের মনে। ছাত্র জীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ দিন সরস্বতী পুজো। তাই সেই দিনটিকেই বেছে নিয়েছিল তাঁরা। চাঁচল সিদ্ধেশ্বরী ইনস্টিটিউশনের ২০১৪ সালের উচ্চমাধ্যমিক ব্যাচের ২৫ জন বন্ধু বান্ধবী সরস্বতী পুজো আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছিল। চাঁচল কলেজ সংলগ্ন মাঠে শুরু হওয়া সেই পুজো এখন এলাকায় জনপ্রিয়। সময়ের সঙ্গে এখন সকলেই তাঁরা সুপ্রতিষ্ঠিত। কেউ ডাক্তার, কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেউ শিক্ষক, কেউ আবার সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। কিন্তু নিজেদের ব্যস্ততা সামলে সকলে মিলে এই পুজো আয়োজন করে আসছেন। এই বছর কাকতালীয়ভাবে সরস্বতী পুজো এবং ভ্যালেন্টাইনস ডে একই দিনে। ভালোবাসার এই দিনে তাদের আর্জি বন্ধুত্ব বেঁচে থাকুক। পুজোর প্রধান উদ্যোক্তা বিপ্র দে বলেন, ‘অনেক শিক্ষা কেন্দ্র এবং ক্লাবে বাগদেবীর আরাধনা হচ্ছে। আমরাও সেই আরাধনায় শামিল হয়েছি। তবে আমাদের বার্তা হল বন্ধুত্বের জন্য। বর্তমান যুগ দেখলে ভয় হয়। বন্ধুত্ব অটুট থাকুক। আজকের দিনে এটাই আমরা চাই।’