উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: বেশ কয়েকদিন ধরেই তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তীকে নিয়ে সরগরম রাজ্যের রাজনৈতিক মহল। বৃহস্পতিবার ফের একবার বিস্ফোরক যাদবপুরের সাংসদ। দিনের পর দিন অপমানিত তিনি! এই অভিযোগ জানিয়ে চিঠি লিখলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে।মিমির এই চিঠির কথা প্রকাশ্যে আসতেই প্রশ্ন উঠছে তাহলে সত্যিই কি ঘাসফুল শিবিরের অন্দরে তুষের আগুনের মত ক্ষোভের আগুন জ্বলছে? লোকসভার আগে এই জল্পনাই উস্কে দিল রাজনৈতিক মহলে।
এদিন বিধানসভায় গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন মিমি চক্রবর্তী। সেখান থেকে বেরিয়ে মিমি জানান, ‘তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। তবে মুখ্যমন্ত্রী এখনও সেই ইস্তফা গ্রহণ করেননি। মুখ্যমন্ত্রী ইস্তফা গ্রহণ করলে তিনি লোকসভার স্পিকারের কাছে গিয়ে ইস্তফাপত্র দিয়ে আসবেন।’
সংবাদমাধ্যমের সামনে মিমির অকপট স্বীকারোক্তি, ‘আমার যা বলার ছিল, দিদিকে বলেছি। অনেকে বলছিলেন, আমি পরবর্তী টিকিট পাকা করার জন্য এটা করছি। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, রাজনীতি আমার জন্য নয়। রাজনীতি করলে আমার মতো মানুষকে গালাগালি দেওয়ার লাইসেন্স পেয়ে যায় লোকে। মিমি চক্রবর্তী যদি খারাপ কিছু করত, সবার আগে শিরোনামে উঠে আসত। আমি জেনে জীবনে কারও কোনও ক্ষতি করি। আমি রাজনীতিক নই। কখনও রাজনীতিক হবও না। সবসময় আমি মানুষের জন্য কর্মী হিসাবে কাজ করতে চেয়েছি। আমি অন্য দলের কারও বিরুদ্ধেও কখনও খারাপ কথা বলিনি।’