চাঁদকুমার বড়াল, কোচবিহার: মার্চ মাসের গোড়া থেকেই কোচবিহারে আলুর বন্ড দেওয়া শুরু করবে রাজ্য। কৃষি বিপণন দপ্তরের অ্যাসিট্যান্ট ডাইরেক্টর শেখ সাব্বির আলি জানিয়েছেন, ১ মার্চের পর যে কোনও দিন বন্ড দেওয়া শুরু হবে। তবে সমস্ত কিছু এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
এদিকে, কোচবিহারে এবারও উদ্বৃত্ত থাকবে সাড়ে তিন লক্ষ মেট্রিক টন আলু। এই আলু কোথায় যাবে, তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও পরিকল্পনা নেই প্রশাসন কিংবা কৃষি দপ্তরের। তাই এখন থেকেই আলুর বন্ড নিয়ে কালোবাজারির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
কোচবিহার জেলা কৃষি আধিকারিক গোপাল মান অবশ্য এত আগে থেকে সমস্যার কথা মানতে নারাজ। বলছেন, ‘বন্ড নিয়ে যে সমস্যা হবেই, সেটা এখন বলা যাচ্ছে না। আগের থেকে হিমঘরের সংখ্যা বেড়েছে। আর যা আলু উৎপন্ন হয় তার সবই তো হিমঘরে থাকে না।’
কোচবিহার জেলায় সব মিলিয়ে ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। ভালো ফলন হওয়ায় ১১ লক্ষ মেট্রিক টন আলু উৎপন্ন হয়েছে এবার। এর মধ্যে কিছু খাবার আলু এবং নতুন আলু ওঠার পর বাজারের বিক্রি ধরলে অন্তত চল্লিশ শতাংশ আলু এখান থেকে বাদ যাবে। তাই মোট উৎপন্ন হওয়া আলুর ষাট শতাংশ হিমঘরে রাখতে হবে। এই হিসেব অনুযায়ী সাড়ে ছয় লক্ষ মেট্রিক টন আলু হিমঘরে রাখতে হবে। কোচবিহার জেলায় বর্তমানে ২০টি হিমঘর রয়েছে। সেগুলির মোট আলুর ধারণক্ষমতা ৩ লক্ষ ১৫ হাজার মেট্রিক টন। এরমধ্যে ২০ শতাংশ সরকারি রিজার্ভ বন্ড থাকবে। তাই সাড়ে ছয় লক্ষ মেট্রিক টনের মধ্যে আড়াই লক্ষ মেট্রিক টন আলুর জায়গা হবে হিমঘরে সাধারণের জন্য। অর্থাৎ, আধিকারিকরা মানুন বা না মানুন, বাকি আলু রাখা নিয়ে বন্ড তুলতে সমস্যা যে হবে, সেটা পরিষ্কার। হিমঘর মালিক সমিতির সদস্য অভিজিৎ নন্দীও সে কথাই বলছেন। তাঁর মন্তব্য, ‘বন্ড নিয়ে তো সমস্যা হয়। জেলা প্রশাসন যেভাবে নির্দেশ দেবে সেভাবে কাজ করব।