চোপড়া, মনজুর আলম: শিশুমৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছিল চোপড়ার চেতনাগছ।আপাতত সেই ক্ষোভ কিছুটা প্রশমিত হয়েছে। কিন্তু সেই বিতর্কিত নালা এখনও আগের অবস্থাতেই রয়ে গিয়েছে।দ্রুত নালা ভরাটের দাবি তুলেছেন গ্রামবাসী।যদিও ওই দাবি প্রসঙ্গে চোপড়ার বিডিও সমীর মণ্ডল কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া চেতনাগছে খনন করা একটি নালায় মাটি চাপা পড়ে মৃত্যু হয় গ্রামের চার শিশুর। কোনও রকম সতর্কতা জারি না করেই নালা খনন ঘিরে বিতর্ক ছড়ায়। খননের আগে সতর্কতা জারি না করায় বিএসএফের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন পশ্চিমবঙ্গ শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাও। অনেকে ওই নালাকে মরণ ফাঁদ বলেও তোপ দাগেন। পরে সরেজমিনে পরিদর্শনে এসে ঘটনা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্য সরকারের তরফে ইতিমধ্যে নিহতদের পরিবার পিছু আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করা হয়েছে। খননকাজে নিযুক্ত ঠিকাদারকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ।
তবে বেশ কয়েকদিন কেটে গেলেও ওই নালা কিন্তু এখনও বিপজ্জনক অবস্থাতেই রয়েছে। গ্রামবাসীর বক্তব্য, নালার প্রায় দু’আড়াইশো মিটারের মধ্যে চেতনাগছ গ্রাম। তাই তাঁরা চিন্তায় থাকেন। স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ তসলিমুদ্দিন বলেন, ‘সন্তানহারা পরিবারগুলোর ক্ষত এখনও শুকোয়নি। তবে ধীরে ধীরে শান্ত হচ্ছে গ্রাম। কিন্তু নালাটি এখনও উন্মুক্ত থেকে যাওয়ায় আমরা উদ্বেগে রয়েছি। নালা ভরাটের বিষয়টি ব্লক প্রশাসনের নজরে আনা হবে।’ এদিকে, সন্তানহারা পরিবারগুলির পক্ষ থেকেও নালা ভরাটের দাবি উঠেছে। মৃত তালেব আলমের দাদা জয়নাল আলম জানান, ওই ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয়, সে কারণে নালা ভরাট করা প্রয়োজন।