হলদিবাড়ি: এত বছর পর ফের নতুন করে কোভিড নিয়ে আতঙ্ক (Corona Fear) ছড়াল হলদিবাড়ি শহরে। হলদিবাড়ি স্টেশনে (Haldibari Railway Station) দাঁড়িয়ে থাকা একটি পুরাতন ভাঙাচোরা আস্ত ট্রেনকে ঘিরে এমনই আতঙ্ক তৈরি হয়েছে শহরে। হলদিবাড়ি স্টেশন সূত্রে খবর, শনিবার নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন (এনজেপি) থেকে ওই ট্রেনটি হলদিবাড়িতে আনা হয়েছে। ট্রেনটিতে ২২টি বগি রয়েছে। প্রতিটি বগিতে কোভিড আইসোলেশন কোচ উল্লেখ রয়েছে। বিষয়টি নজরে আসতেই নতুন করে করোনায় সংক্রামিত হওয়ার আতঙ্কে পুর নাগরিকদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়েছে।
ওই ট্রেনে কোভিডে সংক্রামিত রোগীদের বহন করা হয়েছিল। এরপর এতদিন ট্রেনটি পরিত্যক্ত অবস্থায় এনজেপি স্টেশনেই রাখা ছিল। এনজেপি স্টেশনে রেললাইন খালি করতে ট্রেনটি প্রথমে জলপাইগুড়ি স্টেশনে নিয়ে আসা হয়। সেখানে স্থানীয়দের আপত্তিতে ট্রেনটিকে হলদিবাড়ি স্টেশনে এনে চার নম্বর প্ল্যাটফর্মে রাখা হয়েছে। এবিষয়ে স্টেশন ম্যানেজার সত্যজিৎ তেওয়ারি বলেন, ‘হলদিবাড়িতে রাখার জন্য ট্রেনটি এনজেপি স্টেশন থেকে আনা হয়েছে।’
এদিকে ওই প্ল্যাটফর্মের পাশেই রয়েছে শহরের জনবসতি এলাকা। এলাকার শিশুরা ওই প্ল্যাটফর্ম সংলগ্ন পাকা রাস্তা দিয়ে খেলাধুলো করে। স্বাভাবিক কারণে শিশুরা খেলার ছলে ওই ট্রেনে চাপতে পারে। এতে এলাকার শিশুরা করোনায় সংক্রামিত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। শহরের নাট্যব্যক্তিত্ব দীপঙ্কর মণ্ডল বলেন, ‘করোনাকালে ওই ট্রেনে সংক্রামিতদের বহন করা হয়েছে। তাই রেল ট্রেনটিকে বাতিল করে। এমন একটা ট্রেন হলদিবাড়িতে এনে এলাকাবাসীদের বিপদের মুখে ফেলা হয়েছে।’
বিষয়টি প্রকাশ পেতে অনেকেই এদিন ওই প্ল্যাটফর্মে সান্ধ্যভ্রমণে যাননি। ট্রেনটি অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার দাবিতে সরব হয়েছেন পুর নাগরিকরা। শহরের বাসিন্দা কবি রবিউল গণি প্রধানের বক্তব্য, ‘ট্রেনটি অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হোক। না হলে রেলের তরফে পুরো ট্রেনটি স্যানিটাইজ করে রাখা হোক।’
যদিও পুরসভার স্যানিটারি ইনস্পেকটর শরবিন্দু ঘোষের মন্তব্য, ‘অযথা আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। ৭২ ঘণ্টার বেশি করোনার জীবাণু বাঁচে না।’