রায়গঞ্জ: রায়গঞ্জে (Raiganj) কংগ্রেসের (Congress) ভোটে (Lok sabha election 2024) প্রচারের হাতিয়ার দলবদলুদের ছবি। দেওয়াল লিখন, পথসভা, কর্মীসভার পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও চলছে প্রচারের কাজ। সব দলই সোশ্যাল মিডিয়াকে (Social media) প্রচারের কাজে ব্যবহার করছে। তবে উত্তর দিনাজপুরে (North Dinajpur) কংগ্রেস অভিনব পন্থা নিয়েছে। জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত তাঁর ফেসবুক (Facebook) পেজে পদ্মপ্রার্থী কার্তিক পাল ও তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণীর বিগত দিনে অন্য দল, সেই সব দলের নেতাদের সঙ্গে তাঁদের যে যোগাযোগ ছিল সেই সব ছবি পোস্ট করতে শুরু করেছেন।
কার্তিক পালের যে সব ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় মোহিত সেনগুপ্ত শেয়ার করেছেন সেইসব ছবিতে দেখা গিয়েছে কংগ্রেস নেত্রী দীপা দাশমুন্সির সঙ্গেও রয়েছেন কার্তিক পাল। কোনও ছবিতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড তথা দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। কোনও ছবিতে তাঁকে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। দেখা গিয়েছে বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে।
গত বিধানসভা ভোটে রায়গঞ্জ থেকে বিজেপির টিকিটে দাঁড়িয়েছিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী (Krishna Kalyani)। সেইসময় তিনি কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কী কী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সেই সব প্রতিশ্রুতির কতটা বাস্তবায়িত করতে পেরেছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় সেইসব কিছু তুলে ধরেছে কংগ্রেস।
জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘বিজেপি প্রার্থী কার্তিক পাল একসময় ছিলেন কংগ্রেসে। পরে দল বদলে যান তৃণমূলে। আবার সেখান থেকে ঝাঁপ দেন পদ্মপুকুরে। এদিকে তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী আগে ছিলেন কংগ্রেসে। কংগ্রেসে কিছুদিন থেকে ফের তৃণমূলে ঘরওয়াপসি। কিছুদিন সেখানে কাটিয়ে আবার বিজেপিতে, বিজেপি থেকে আবার তৃণমূলে গিয়ে প্রার্থী হয়েছেন। আসলে তিনি নেতা নন, রাজনীতির ব্যবসায়ী। সেই বিষয়টিকেই আমরা দলের তরফে ভোটারদের সামনে তুলে ধরেছি।’
এই প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ার এরকম কোনও পোস্ট নজরে পড়েনি। তাই না দেখে কোনো মন্তব্য করতে পারবো না।’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল কংগ্রেসকে এই ইস্যুতে বিঁধেছেন। তিনি বলেন, ‘কংগ্রেস প্রার্থী নিজে কী? নিজে ফরওয়ার্ড ব্লকের একাধিকবারের বিধায়ক ছিলেন। কংগ্রেসের প্রার্থী নিজেই দলবদল করে এসেছেন। তাঁরা আবার অন্য প্রার্থীর দলবদল দেখছেন?’
প্রতিক্রিয়ায় মোহিত সেনগুপ্ত জানান, ‘ভিক্টর আলি ফরওয়ার্ড ব্লকের বিধায়ক ছিলেন ঠিকই। কিন্তু তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। ভিক্টর চাইলে সেই সময় অন্য দলেও যেতে পারতেন। কিন্তু মানুষের জন্য কাজ করবেন বলে কংগ্রেসে যোগদান করেছেন। আসলে কংগ্রেসের বিকল্প কেউ নেই সেটা ভিক্টর ভালোমতো বুঝতে পেরে যোগ দিয়েছিলেন।’