উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ হাইকোর্টের নির্দেশে বাম আমলের ৪০০ জন চাকরি পাচ্ছে প্রাথমিকে। মঙ্গলবার এমনই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। এদিন বিচারপতি মান্থা নির্দেশ দেন, আগামী তিন মাসের মধ্যে সকলকে চাকরি দিতে হবে। হাওড়ার জেলা স্কুল পরিদর্শককে ওই চাকরি দেওয়ার দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
জানা গিয়েছে, ২০০৯ সালে প্রাথমিকে ১,৮২৬ জন শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় তৎকালীন বাম সরকার। ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১০ সালে। ২০১১ সালে রাজ্যে রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটে। ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। ক্ষমতায় এসেই বাম আমলের প্যানেল বাতিল করে দেয় তৃণমূল সরকার। তারা নতুন প্যানেল প্রকাশ করে। ওই প্যানেলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে চাকরিপ্রার্থীরা মামলা করে হাই কোর্টে। মামলাটি যায় সুপ্রিম কোর্টে। শীর্ষ আদালত তৃণমূল সরকারের পক্ষে রায় দিলেও আদালত জানায়, বাম আমলের আবেদনকারীদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পুনরায় সুযোগ দিতে হবে। সেক্ষেত্রে ওই প্যানেলের ক্ষেত্রে নতুন কোনও চাকরিপ্রার্থীর আবেদন গণ্য হবে না। আদালতের নির্দেশের পরে ওই প্যানেল নিয়েই ২০১৪ সালে আবার নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে রাজ্য।
২০১৫ সালে বাম আমলের নিয়োগ সংক্রান্ত প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। নিয়োগে ত্রুটির অভিযোগ এনে ফের হাইকোর্টে মামলা করেন গোপালচন্দ্র কাঞ্জি-সহ বেশ কয়েক জন চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্টে নির্দেশিকা অমান্য করে অনেক নতুন আবেদনকারীকে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষক হওয়ার জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা না-থাকা সত্ত্বেও অনেককে চাকরি দেওয়া হয়েছে।
পরে ওই একই অভিযোগে একাধিক মামলা দায়ের হয় হাই কোর্টে। গত বছর কয়েক জন মামলাকারীকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দেন বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মঙ্গলবার বিচারপতি মান্থা নির্দেশ দেন, আগামী তিন মাসের মধ্যে সব মামলাকারীকে যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি দিতে হবে।