উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদের ভরতপুর এলাকা। শনিবার শাসক দলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠে ভরতপুর। সামান্য বিষয়কে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে শুরু হয় বচসা।বচসা ক্রমেই আকার নেয় বড় মাপে। শুরু হয় বোমাবাজি।বোমার আঘাতে জখম হয়েছেন অন্তত ১০ জন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ।এলাকায় রয়েছে উত্তেজনা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এদিন তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের অনুগামীদের সঙ্গে ঝামেলা বাধে ব্লক সভাপতি নজরুল ইসলাম ওরফে টারজানের অনুগামীদের।প্রথমে দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হলেও, ক্রমেই তা পৌঁছয় হাতাহাতির পর্যায়ে।আচমকা এলাকায় শুরু হয় বোমাবাজি। বিধায়কের অনুগামীদের লক্ষ্য করে বোমা ছোড়েন ব্লক সভাপতির অনুগামীরা।এতে ১০ জন জখম হন।তাঁদের মধ্যে এক বৃদ্ধাও রয়েছেন। বর্তমানে আহতরা চিকিৎসাধীন হাসপাতালে।
অন্যদিকে, বোমাবাজির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ভরতপুর থানার পুলিশ।দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় তাঁরা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনেন। এই ঘটনাকে তীব্র কটাক্ষ করে এক বিজেপি নেতা বলেন, ‘তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে এলাকায় অশান্তি ছড়াচ্ছে। মানুষ আতঙ্কিত। তৃণমূলের সব গোষ্ঠীর হাতেই প্রচুর পরিমাণে বেআইনি অস্ত্র রয়েছে। আগামী নির্বাচনে সেই সব অস্ত্র তারা ব্যবহার করবে। নির্বাচন কমিশন উদ্যোগী হয়ে অস্ত্র উদ্ধারের ব্যবস্থা করুক।’
