উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ পঞ্চায়েত ভোটে ক্ষমতা ধরে রাখতে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাতিয়ার করলেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী-শিক্ষাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথীকে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল না জিতলে এই সরকারি প্রকল্প গুলোকে চালিয়ে নিয়ে যাওয়া কতটা সম্ভব হবে তা নিয়েও এদিন সভায় প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ব্যাখ্যা, তৃণমূল সুপ্রিমো যেন বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, এই প্রকল্পগুলির সুবিধা পেতে থাকতে হলে, তৃণমূলকে পঞ্চায়েতে জেতাতেই হবে।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচির আজ শেষ দিন। নবজোয়ারের শেষ দিনে কাকদ্বীপে এক মঞ্চে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মঞ্চ থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলকে জেতাতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী, শিক্ষাশ্রী, ঐক্যশ্রীর মতো সরকারি প্রকল্পগুলির কথা টেনে আনেন তিনি। এদিন তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসকে জেতান, না তো লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কে দেবে আপনাকে?’ স্বাস্থ্যসাথী কে দেবে পঞ্চায়েতগুলো না জিতলে? রাস্তা কে করবে? চাল বাড়িতে কে পৌঁছে দেবে? আমফান হলে উদ্ধার করে ত্রাণশিবিরে কে নিয়ে আসবে? কন্যাশ্রী-শিক্ষাশ্রী-ঐক্যশ্রীর ছেলে-মেয়েরা কোথায় যাবে? পেনশন হোল্ডাররা কোথায় যাবেন? স্বাস্থ্যসাথী কোথায় যাবে? পঞ্চায়েত তৃণমূল কংগ্রেস জিতলে আমাদের হাত, মানে জোড়াফুলের হাত শক্তিশালী হবে।’
কাকদ্বীপের সভা থেকে এদিন বেশ কিছু প্রতিশ্রুতিও দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে যা কাজ বাকি আছে, সেগুলিও আমার উপর ছেড়ে দিন। আমি করে দেব। যদি কেউ কোথাও কিছু না পেয়ে থাকেন, তাঁরা আমাকে সরাসরি জানাবেন। আমি নিজে প্রতি সপ্তাহে দেখে নিই, কার কী প্রয়োজন আছে।’ উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজ্যের আমজনতার সমস্যা, অভাব-অভিযোগের কথা জানানোর জন্য ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ বলে একটি সরকারি কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। একটি ফোন নম্বরও দেওয়া হয়েছে। সেই নম্বর ফোন করে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে নিজের সমস্যার কথা জানাতে রাজ্যবাসীর কাছে আবেদন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।