চাঁচল: তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসনের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ। এনিয়ে চাঁচল-১ নম্বর ব্লক অফিসের মূল ফটকে ধর্নায় বসলেন কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি ও কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েতের বীরস্থলী ২৪৩ নম্বর বুথে কংগ্রেসের হয়ে মনোনয়ন জমা করেছে ইউসুফ খান। ওই আসনটি ওবিসি সংরক্ষিত। নিয়মানুযায়ী ওবিসি শংসাপত্র জমা করতে হবে তাঁকে। তার জন্য বংশ তালিকায় পঞ্চায়েত প্রধানের সাক্ষর প্রয়োজন। অভিযোগ, তৃণমূল পরিচালিত চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আজমেরী খাতুন সাক্ষর করতে নানা টালবাহানা করছেন। কারণ, ২৪৩ নম্বর বুথে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন আজমেরী খাতুনের স্বামী মোক্তার হোসেন। এনিয়ে ব্লক প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও সুরাহা হয়নি। তাই পঞ্চায়েত ও বিডিও’র বিরুদ্ধে অসহোযোগিতার অভিযোগ তুলে ধর্নায় বসেছেন কংগ্রেসের প্রার্থী, ব্লক সভাপতি ও নেতা-কর্মীরা।
চাঁচল ১ নম্বর ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি আনজারুল হক জনির অভিযোগ, যেহেতু ওই বুথে পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী তৃণমূল প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছেন, তাই পঞ্চায়েত প্রধান ইচ্ছাকৃতভাবে অসহযোগিতা করছেন। প্রশাসনও সহযোগিতা করছে না। তাই আজ বিডিও অফিসে ধর্না দিচ্ছেন তাঁরা। বিডিও’র কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হবে। কংগ্রেসের পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপির কো-কনভেনের প্রসেনজিৎ শর্মা জানান, তড়িঘড়ি নির্বাচন ডেকে এই অবস্থা হয়েছে। রাজ্যের শাসক দলের মদতে প্রশাসন সর্বত্রই বিরোধীদের অসহযোগিতা করছে।
যদিও এবিষয়ে পঞ্চায়েত প্রধানকে ফোন করা হলে তিনি ফোন না ধরায় কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক এটিএম রফিকুল হোসেনের দাবি, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। মনোনয়নের দিন শেষ হয়ে গিয়েছে। কংগ্রেস আগে কেন এই অভিযোগ করেনি। এগুলো নির্বাচনের আগে সম্পূর্ণ বিরোধীদের প্ররোচনা। চাঁচল ১ এর বিডিও সমীরণ ভট্টাচার্য জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।