নাগরাকাটাঃ সন্ধ্যে নামলেই চিতাবাঘের আতঙ্কে দোরে খিল দিচ্ছেন নাগরাকাটার আংরাভাসা এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত খেরকাটা গ্রামের বাসিন্দারা। প্রায় প্রতি রাতেই হিংস্র বুনোটি তুলে নিয়ে যাচ্ছে গৃহস্তের একের পর এক গবাদী পশু। পরিস্থিতি এমনই দিনের বেলাতেও রাস্তায় বের হতে ভয় পাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কারণ পাশেই ডায়নার জঙ্গল ও উলটো পাশে ডায়না নদী। সব মিলিয়ে জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩ হাজার। বন দপ্তরের বন্যপ্রাণ শাখার খুনিয়া রেঞ্জের রেঞ্জার সজল দে বলেন, ঘটনার খবর শুনেছি। প্রয়োজনে সেখানে খাঁচা পাতার ব্যবস্থা করা হবে।
প্রত্যন্ত খেরকাটা গ্রাম মূলত কৃষি অধ্যুষিত। এর বাইরে পশু পালন অন্যতম পেশা। এখনও পর্যন্ত সেখানে চিতাবাঘের হামলায় ১০ জন স্থানীয় বাসিন্দার গবাদী পশুর প্রাণ গিয়েছে। সাদ্দাম হুসেন নামে এক ব্যক্তি বলেন, গোয়াল থেকে পোয়াতি একটি ছাগলকে চিতাবাঘটি মেরে ফেলে। কিছুটা খেয়ে বাকী অংশ ফেলে রেখে যায়। রসিদ আলম নামে এক বাসিন্দা বলেন, এলাকার সবাই দুস্থ। চাষবাস আর পশু পালন করেই সংসার চলে। এভাবে যদি একের পর এক গবাদির প্রাণ যায় তবে মানুষগুলি বাঁচবে কি করে? সবচেয়ে বড় কথা বাসিন্দাদেরও জীবনের ঝুঁকি হয়ে গিয়েছে। প্রচুর শিশু গ্রামে রয়েছে। তিনি জানিয়েছেন পুরো বিষয়টি নিয়ে বন দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।