চাঁদকুমার বড়াল, কোচবিহার: ক’দিন আগেই কোচবিহার (Coochbehar) শহর লাগোয়া মহিষবাথান (Mahishbathan) এলাকায় জেলা আঞ্চলিক পরিবহণ দপ্তরের সামনে জবরদখল তুলতে প্রশাসন অভিযান চালায়। এদিকে শহরে ফের হেরিটেজ স্থাপত্যগুলোর সামনে জবরদখল শুরু হয়েছে। তবে সবার চোখের সামনে এই জবরদখল শুরু হলেও এ নিয়ে পুরসভা থেকে শুরু করে প্রশাসনের তরফে কোনও উদ্যোগ লক্ষ করা যাচ্ছে না।
শহরের রাজবাড়ির সামনে থেকে শুরু করে নরেন্দ্রনারায়ণ পার্ক, গভর্নমেন্ট প্রেস সর্বত্র দোকানপাট বসেছে। হেরিটেজ ভবন, স্থানের সামনে অবৈধ দোকান, জবরদখল হলেও তাতে কোনও ভ্রূক্ষেপ নেই প্রশাসনের।
কোচবিহার শহরকে হেরিটেজ (Heritage Places in Coochbehar) শহর হিসেবে সাজিয়ে তুলতে রাজ্য থেকে কোটি, কোটি টাকা খরচ করে নানা উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে। ২০২৩ সালে জেলা প্রশাসন ও পুরসভা যৌথভাবে হেরিটেজ স্থাপত্যের সামনে জবরদখল তুলতে অভিযান করে। সেই সময় সেই অভিযানে ভালো সাড়া পড়ে শহরে। তবে বছর ঘুরতে না ঘুরতেই শহরের নরেন্দ্রনারায়ণ পার্ক থেকে শুরু করে রাসমেলা মাঠ সর্বত্র ফের একাধিক দোকানপাট বসেছে।
ব্যবসায়ীরা অবশ্য বলছেন, ‘উচ্ছেদ করলে আগে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ তাঁরা বহুদিন থেকে ব্যবসা করে কোনওভাবে চলছেন। তাই প্রশাসন তাদের কাজ করুক। কিন্তু তাঁদের দিকটিও ভাবা উচিত বলে মত তাঁদের। সদর মহকুমা শাসক কুণাল বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিষয়টি নিয়ে জানতে ফোন করা হলেও তিনি ফোন তোলেননি।
কোচবিহার শহরজুড়ে ফুটপাথ বলতে আর কিছুই নেই। শহরের সব ফুটপাথই দখল হয়েছে। সেখানে কেউ বসে ব্যবসা করছেন। কিংবা দোকানের সামনে ফুটপাথে মালপত্র সেখানে সাজিয়ে রেখেছেন। আবার কিছু ব্যবসায়ী নিজেদের দোকানের সামনে অন্য কাউকে ব্যবসা করতে দিয়ে সেখান থেকেও দিনপ্রতি টাকা নেন। রাস্তার মধ্যে কিংবা ফুটপাথে চেয়ার, টেবিল বসিয়ে হেরিটেজ শহরে ব্যবসা করছেন অনেকেই।
কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ‘উচ্ছেদ প্রশাসন করেছিল। পুরসভা শুধুমাত্র সহযোগিতা করেছে। হেরিটেজ স্থাপত্যের সামনে জবরদখলের বিষয়টি প্রশাসন দেখছে।’