শিলিগুড়ি: কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় (Train Accident) আহত সহকারী চালককে দেখতে হাসপাতালে এলেন শিলিগুড়ির (Siliguri) মেয়র গৌতম দেব (Goutam Deb)। বুধবার দুপুরে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে আহত মন্নু কুমারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তবে অসুস্থতার কারণে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে পারেননি মেয়র। এদিন মৃত কাঞ্চনজঙ্ঘার (Kanchanjunga Express) গার্ড আশিস দে’র বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন গৌতম। তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
এদিকে, এদিন অভিযোগকারী রেলযাত্রী চৈতালি মজুমদারের বাড়িতেও যান গৌতম। প্রসঙ্গত, রেল দুর্ঘটনায় মঙ্গলবারই মালগাড়ির চালক ও সহকারী চালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন চৈতালি। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে রেল। যদিও কারও বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেননি বলে দাবি করেন দুর্ঘটনাগ্রস্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের এস-৬ কামরার যাত্রী চৈতালি। রেল হাসপাতালের বেডে চিকিৎসাধীন থাকার সময় তাঁর থেকে সাদা কাগজে সই করিয়ে নেওয়া হয়েছিল বলে ভয়ংকর অভিযোগ করেছেন তিনি। একই অভিযোগ করেছেন তাঁর বাবা চিন্ময় মজুমদারও। এদিন লেকটাউনের বাসিন্দা চৈতালির সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি নিয়ে তীব্র নিন্দা করেন গৌতম। গোটা ঘটনার জন্য রেলকে দায়ী করেন তিনি। চৈতালি এবং তাঁর পরিবারের পাশে থেকে আইনি সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন গৌতম।
চৈতালির যুক্তি, ‘আমি ট্রেনের ভেতরে থাকাকালীন কী করে দেখব যে মালগাড়ির চালক এসে ধাক্কা মেরেছেন কি না। আমি সোম থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত রেল হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিলাম। এখানেই রাত সাড়ে আটটা নাগাদ রেল এবং পুলিশের লোক আমার থেকে সবটা শোনে এবং মোবাইলে রেকর্ড করে। আর সাদা কাগজে নাম-ঠিকানা লিখে সই করিয়ে নিয়ে যায়।’ চৈতালির বাবা চিন্ময় মজুমদারের বক্তব্য, ‘আমার মেয়ে আহত হয়েছে, আমরা তাঁকে নিয়েই ব্যস্ত ছিলাম। শুধু শুধু আমাদের এসবের মধ্যে জড়ানো হচ্ছে। ভুয়ো অভিযোগ হয়েছে।’ শিলিগুড়ির সুপারিন্টেন্ডেন্ট অফ রেলওয়ে পুলিশ সেলভামুরুগনকে এনিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলছেন, ‘আমাদের কাছে প্রমাণ রয়েছে। আপনারা এটা নিয়ে বেশি ভাববেন না।’