রতুয়া: বিদ্যালয় থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী সরানোর দাবিতে বিক্ষোভ পড়ুয়া এবং অভিভাবকদের। সোমবার রতুয়া হাই মাদ্রাসা স্কুলের সামনে রতুয়া ভালুকা রাজ্য সড়ক অবরোধ করে পড়ুয়া এবং অভিভাবকদের আন্দোলনে শামিল হয়েছিল স্থানীয় বাসিন্দারাও। এদিন সকালে সাড়ে ১১টা থেকে বারোটা পর্যন্ত চলে এই বিক্ষোভ। এর ফলে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয় রাজ্য সড়কে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রতুয়া থানার পুলিশ। অবশেষে পুলিশের হস্তক্ষেপে উঠে যায় অবরোধ।
বিক্ষোভকারী শেখ রবিউল আলি বলেন, লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকে রতুয়া হাই মাদ্রাসা স্কুলে কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে। ভোট পর্ব শেষ হয়েছে অন্যান্য স্কুল থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিজ নিজ জায়গা চলে গিয়েছেন। অথচ রতুয়া হাই মাদ্রাসায় এখনও পর্যন্ত কেন্দ্র বাহিনী রয়েছে। এখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকার ফলে বন্ধ রয়েছে স্কুলে পঠন-পাঠন। প্রায় ছয় মাস অতিবাহিত হতে চলল কিন্তু তারা এখানেই রয়েছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষকও জানেন না কতদিন কেন্দ্রীয় বাহিনী এখানে থাকবেন। তিনি কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। তাই আজ আমরা বাধ্য হয়ে স্কুলের সামনে রতুয়া ভালুকা রাজ্য করেছি। প্রশাসনের কাছে আমরা দৃষ্টি আকর্ষণ করছি স্কুলের পড়ুয়াদের স্বাভাবিক ও সুষ্ঠ পঠন-পাঠনের চালু করতে হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, বিগত ছয় মাস ধরে পঠন-পাঠন বন্ধ রয়েছে। এর ফলে ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে পড়ুয়াদের। কেন এতদিন ধরে স্কুলে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে? তাই আজ আমরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি। এখানে রতুয়া থানার আই সি সাহেব এসছিলেন তিনি তিন দিনের সময় নিয়েছেন এখান থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী সরিয়ে নিয়ে যাবেন।
আন্দোলনকারীদের মধ্যে এক পড়ুয়া আসমিরা খাতুন বলেন, ‘আমি রতুয়া হাই মাদ্রাসা স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী। ছয় মাস ধরে স্কুলের মুখ দেখেনি। এখানে আমাদের ক্লাসরুম কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে। স্কুল বন্ধ থাকার ফলে পঠন-পাঠন হচ্ছে না। স্কুল খোলার ব্যাপার নিয়ে শিক্ষকদের কোনও মাথা ব্যথা নেই। অন্যান্য স্কুল কবেই খুলে গিয়েছে। আমাদের একটাই দাবি দ্রুত স্কুল খোলা হোক এবং পঠন-পাঠন চালু করা হোক। তাই স্কুল খোলার দাবিতে আজ আমরা পথ অবরোধ করতে বাধ্য হয়েছি। রতুয়া ১ এর বিডিও রাকেশ টোপ্পো জানিয়েছেন, তিন দিনের মধ্যে স্কুল থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী সরিয়ে নেওয়া হবে। তারপর থেকে স্কুলে স্বাভাবিক হয়ে যাবে পঠন-পাঠন।