কুমারগঞ্জঃ নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনায় নাম জড়াল এক বিজেপির এক গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের। বিজেপি নেতা পেশায় মুদিখানা ব্যবসায়ী। অভিযোগ সোমবার রাতে এই বিজেপি নেতা ফুঁসলিয়ে বাড়িতে ডেকে এনে ধর্ষণ করে এক আদিবাসী নাবালিকাকে। এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের ৮ নম্বর বটুন গ্রামে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পতিরাম থানার পুলিশ। ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত বিজেপির এই পঞ্চায়েত সদস্যের কঠোর সাজার দাবি জানিয়েছে তৃণমূল।
নির্যাতিতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার রাত ১০টা নাগাদ। আদিবাসী পরিবারের এই নির্যাতিতা মেয়েটি সপ্তম শ্রেণী ছাত্রী। সেই রাতে পেশায় মুদিখানা ব্যবসায়ী তথা স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য শান্তনু চৌধুরী মেয়েটিকে ফুঁসলিয়ে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। এরপরই মেয়েটিকে বলপূর্বক ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য হুমকিও দেয় অভিযুক্ত নেতা। এরপরই সেখান থেকে রেহাই পেয়ে বাড়ি ফিরে এসে মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে যায়। মেয়ের এই অবস্থা দেখে আশপাশের লোকজনকে ডেকে আনেন নির্যাতিতার বাবা। কিছুক্ষণ পর মেয়েটির জ্ঞান ফিরলে পরিবারের লোকেদের চাপে সে বলে দেয় বিজেপি নেতার কুকীর্তির কথা।
পরদিন অর্থাৎ ১৭ অক্টোবর অভিযুক্ত বিজেপি নেতা কিছু টাকা পয়সা নিয়ে মিটিয়ে নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে বলে অভিযোগ। ঘটনার মীমাংসা না হওয়ায় এবং ঘটনাটি জানাজানি হয়ে যাওয়ায় বুধবার সকালে পতিরাম থানায় বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে নাবালিকা ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার মা। অভিযোগ পাওয়ার পরই অভিযুক্ত পাকড়াও করতে তৎপর হয় পুলিশ। এদিনই অভিযুক্তকে কৈতাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য শান্তনু চৌধুরী(৩৫) দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের ৮ নম্বর বটুন গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির টিকিটে নির্বাচিত এক সদস্য। ধর্ষণের ঘটনায় বিজেপি নেতার নাম জড়িয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। তৃণমূল কংগ্রেসে তরফ থেকে ধৃত এই বিজেপি নেতার কঠোরতম শাস্তি দাবি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অবিলম্বে তার বটুন গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যপদ বাতিলের দাবিও তুলেছেন তারা। পতিরাম থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। সেই সঙ্গে নির্যাতিতা মেয়েটির মেডিকেল টেস্ট করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।