সামসীঃ মঙ্গলবার ভর সন্ধ্যায় আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটল সোনার দোকানে। এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে মালদা জেলার মালতীপুর দূর্গা মন্দির লাগোয়া একটি সোনার দোকানে। দোকান মালিকের নাম গৌতম সেন। তার বাড়ি চাঁচলে। এই ঘটনায় ব্যপক আতঙ্ক ছড়ায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে। এদিকে ঘটনাস্থল থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে কাশিমপুর এলাকায় ডাকাতদলকে ধরতে গিয়ে তাদের ছোঁড়া বোমার আঘাতে প্রাণ হারালেন এক সিভিক ভলান্টিয়ার। ঘটনাস্থলে যথেষ্টই উত্তেজনা রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সন্ধ্যায় চারটি বাইকে চেপে আট জনের ডাকাতদল আসে ডাকাতির উদ্দেশ্যে। তারা সোনার দোকানের সামনে এসেই স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করতে কয়েকটি বোমা ফাটায়। এরপরই ডাকাত দল আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঢুকে পরে সোনার দোকানে। বাধা পেয়ে ডাকাতদল দোকান মালিককে লক্ষ করে কয়েক রাউন্ড গুলিও চালায় বলে অভিযোগ। গুলিবিদ্ধ হন দোকান মালিক, একজন কর্মী ও একজন ক্রেতা। এরপর ক্যাশ বাক্স থেকে নগদ টাকা, প্রচুর সোনার গয়না, রুপোর অলংকার নিয়ে চম্পট দেন ওই ডাকাতদল। গুলিবিদ্ধ তিনজনকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।
এদিকে, ডাকাতদল ঠিক কত নগদ অর্থ, সোনা ও রুপোর অলংকার নিয়ে পালিয়েছে তা সঠিকভাবে জানা যায়নি। ঘটনার খবর দেওয়া হয় চাঁচল থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন চাঁচল থানার আইসি পূর্ণেন্দু কুমার কুন্ডুর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী। আইসি পূর্ণেন্দু কুমার কুন্ডু জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। চারিদিকে নাকা চেকিং চলছে।
এদিকে ডাকাতির পরপরই ডাকাতদলকে ধরতে বিভিন্ন জায়গায় নাকা চেকিং শুরু করে মালদা পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে কাশিমপুর এলাকায় নাকা চেকিং চলাকালীন এক মমিনুল হক নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ার পথ আটকানোর চেষ্টা করে ডাকাতদলের। সেই সময়ই ডাকাতদলের ছোঁড়া বোমার আঘাতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান এক মমিনুল। এই ঘটনায় কাশিমপুর এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। সেখান থেকেও পালাতে সক্ষম হয় ডাকাতদল। ডাকাতদলকে ধরতে জায়গায় জায়গায় জোর তল্লাশি শুরু করেছে মালদা জেলা পুলিশ।