উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া বাইরন বিশ্বাসের বিধায়ক পদ বাতিলের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন এক আইনজীবী। মামলাটি দায়ের করেছেন আইনজীবী সৌম্যশুভ্র রায়। আগামী সপ্তাহে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
গত ২৯ মে আচমকাই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন সাগরদিঘির বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস। তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচীর তাবুতে এসে দলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে দলীয় পতাকা তুলে নেন বাইরন। সাগরদিঘির উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে ২২ হাজার ভোটে হারিয়েছিলেন বাম-কংগ্রেসের জোট প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস। তিনি ছিলেন বিধানসভায় কংগ্রেসের একমাত্র বিধায়ক। কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতেই সাগরদিঘির বিধায়কের পদ খারিজ নিয়ে নির্বাচন কমিশন ও বিধানসভার অধ্যক্ষকে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন আইনজীবী সৌম্যশুভ্র রায়। সেখানে আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, দলবদলের পর বিধায়ক পদও যেন বাতিল করা হয় তাঁর। চিঠির উত্তর না পেলে মামলা করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন হাইকোর্টের আইনজীবী সৌম্যশুভ্র। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশন ও অধ্যক্ষের তরফ থেকে উত্তর না মেলায় আদালতের দ্বারস্থ হন আইনজীবী। দায়ের করেন জনস্বার্থ মামলা।
ভারতীয় সংবিধানে দলত্যাগ বিরোধী আইন রয়েছে। রাজীব গান্ধির সময়ে তৈরি হয়েছিল সেই আইন। তবে বাইরন কী আদৌ এই আইনের আওতায় পড়বেন? যদিও, এর উত্তর দিতে গিয়ে বাইরন বিশ্বাস বলেছিলেন যে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকরী হয় না। তাই পদত্যাগের প্রশ্ন ওঠে না। যদি নিয়ম অনুযায়ী দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকরী হতো, তাহলে তিনি পদত্যাগ করে পুনরায় নির্বাচনে দাঁড়াতেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে,’সাগরদিঘি’কে মডেল করে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শাসকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ঘুঁটি সাজাচ্ছিল বাম-কংগ্রেস জোট। কিন্তু তার আগেই বাইরনের দল বদল সেই জোটে কিছুটা ধাক্কা খেল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।