রাহুল মজুমদার, শিলিগুড়ি: কিশোরকে নেশা করিয়ে নদীতে ডুবিয়ে মারার অভিযোগ ঘিরে উত্তাল শিলিগুড়ির বাগরাকোট। মৃতের নাম অমিত সাহানী (১৭)। রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির প্রধাননগর থানার গুলমা এলাকায়। সোমবার বিকেলে কিশোরের দেহ উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে নিয়ে এসে তাকে খুনের অভিযোগ তুলে বাগরাকোট এলাকায় পথ অবরোধ করেন পরিজনরা। প্রায় ৪৫ মিনিট অবরোধ চলে। এরপর শিলিগুড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লিখিত অভিযোগ দায়েরের পরামর্শ এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকেই মৃতের পরিবারের দুজন শিলিগুড়ির প্রধাননগর থানায় লিখিত অভিযোগ করতে যান। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে প্রধাননগর থানার পুলিশ।
মৃতের মামাতো দাদা রবি সাহানী বলেন, ‘আমার সঙ্গেই দোকানে কাজ করত ভাই। রবিবার আশপাশের এলাকার কয়েজন যুবকের সঙ্গে গুলমাতে যায় সে। হঠাৎ দুপুরের দিকে এক যুবক ফোন করে বলে, ভাই জলে ডুবে গিয়েছে। এরপরে হাসপাতালে যাই। চিকিৎসকরা জানান পাঁচ মিনিট আগে এলেও বাঁচানো যেত। আমার ভাইকে মাদক খাইয়ে ডুবিয়ে মেরেছে। প্রধাননগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।’
১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সঞ্জয় শর্মার বক্তব্য, ‘আমরা চাই পুলিশ সঠিক তদন্ত করুক। তিন দিন আমরা সময় দিলাম। তিনদিনে কেউ গ্রেপ্তার না হলে আবার পথ অবরোধ করব।’
এদিকে, সোমবার সকালে গুলমাতে যান মৃতের পরিজনেরা। যে জায়গায় কিশোর ডুবেছিল সেই জায়গায় নেমে জল মাপেন তাঁরা। পরিবারের দাবি, কিশোরের উচ্চতা ৫.৬ ফুট। কিন্তু নদীতে জল রয়েছে ৪.৫ ফুট। তাই কিশোরকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি তাদের। যারা গতকাল মৃত কিশোরের সঙ্গে গিয়েছিল তাদের গ্রেপ্তারির দাবি জানিয়ে সোমবার বিকেলে বাগরাকোটে পথ অবরোধ করে মৃতের পরিবারের লোকজন। কাউন্সিলরের উপস্থিতিতেই চলে পথ অবরোধ। কোনরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এলাকায় সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েন ছিল। অন্যদিকে, ট্রেজারি বিল্ডিংয়ে সামনে বিশাল বাহিনী নিয়ে তৈরি ছিলেন শিলিগুড়ি থানার আইসি অনুপম মজুমদার। যদিও পরবর্তীতে পুলিশের আশ্বাসেই অবরোধ তুলে নেওযা হয়। এরপর দেহ সৎকারের জন্যে কিরণচন্দ্র শ্মশানঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়।