উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (CM Mamata Banerjee) নিয়ে লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) প্রচারসভা থেকে কিছু মন্তব্য করেছিলেন প্রাক্তন বিচারপতি তথা তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। সেই মন্তব্যের জন্য এবার তাঁকে শোকজ করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ওই মন্তব্যের জন্য অভিজিৎকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে কমিশন জানিয়েছে, প্রাক্তন বিচারপতির ওই মন্তব্য ‘সর্বার্থে বেঠিক, বিচারবুদ্ধিহীন, শালীনতার সীমালঙ্ঘনকারী এবং কুরুচিকর।’
বুধবার হলদিয়ার চৈতন্যপুরে একটি সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর নাম করে আক্রমণ করেছিলেন অভিজিৎ। হলদিয়ার ওই সভার একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি উত্তরবঙ্গ সংবাদ। ঘটনার সূত্রপাত সন্দেশখালির স্টিং অপারেশনকে কেন্দ্র করে। সেই ভিডিও’রও সত্যতা যাচাই করেনি উত্তরবঙ্গ সংবাদ। সেখানে বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়ালকে বলতে শোনা যায়, সন্দেশখালির বিজেপির প্রার্থী রেখা পাত্র দুহাজার টাকার বিনিময়ে মিথ্যা ধর্ষণের মামলা করেছে। ভিডিও সামনে আসতেই বিজেপির নেতারা দাবি করছেন ভিডিওগুলো মিথ্যা, সাজানো।
এর প্রেক্ষিতেই হলদিয়ায় এক জনসভায় অভিজিৎ বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তুমি কত টাকায় বিক্রি হও? তোমার হাতে কেউ ৮ লক্ষ টাকা গুঁজে দিলে চাকরি হয়, কেউ ১০ লক্ষ টাকা দিলে র্যাশন হাওয়া হয়ে যায়! কেন তোমার দাম ১০ লক্ষ টাকা? তুমি কেয়া শেঠকে দিয়ে মুখে মেকআপ করাও বলে? আর রেখা পাত্র গরিব মানুষ, লোকের বাড়িতে কাজ করে, আমাদের প্রার্থী। সে জন্য তাঁকে ২০০০ টাকায় কেনা যায়? একজন মহিলা হয়ে উনি এক মহিলা সম্পর্কে এ কথা বলেন কী করে? উনি আদৌ মহিলা কি না তা নিয়ে সন্দেহ আছে আমার!’ এর প্রেক্ষিতে বিজেপির তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
অভিজিতের এই মন্তব্যের উল্লেখ করে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কড়া নিন্দা করে। অভিজিতের মন্তব্যের ইংরেজি তর্জমা সহ কমিশনে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে তৃণমূল। শুক্রবার সেই অভিযোগেরই জবাব এল কমিশনের কাছ থেকে। কমিশন জানিয়েছে, তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ ওই মন্তব্যে শুধু রুচিহীনতার পরিচয়ই দেননি, তিনি নির্বাচনের সময়ে জারি থাকা আদর্শ আচরণবিধিও লঙ্ঘন করেছেন। বিকেল ৫ টার মধ্যে অভিজিৎকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমিশন এও জানিয়েছে যে, যথা সময়ে অভিজিতের জবাব না এলে, কমিশন ধরে নেবে এ ব্যাপারে তাঁর কিছু বলার নেই। পরবর্তীতে তার ভিত্তিতে অভিজিতের বিরুদ্ধে আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে পদক্ষেপ করা হবে।