উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ শিলিগুড়িতে নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) পৌঁছানোর আগেই শিলিগুড়িতে পা রেখেছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ((Abhijit Ganguly)। শিলিগুড়ির কাওয়াখালির জনসভাতে যোগ দিতেই আসা অভিজিৎএর। আর এই সভা দিয়েই তিনি শুরু করলেন রাজনৈতিক পথ চলা। এদিন বেলা সোয়া ১১টা নাগাদ বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে তাঁকে স্বাগত জানিয়ে মঞ্চে নিয়ে যান শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। কাওয়াখালির মঞ্চে নরেন্দ্র মোদি আসার আগে রাজ্য কিছুক্ষণ বক্তৃতা করার সুযোগ পান তিনি। তাঁর বক্তব্যে তেমন ঝাঁঝ না থাকলেও তৃণমূলকে ‘দুর্নীতিপরায়ণ’ বলে আক্রমণ করেন তিনি।
এদিন বিকেল সাড়ে তিনটা নাগাদ নরেন্দ্র মোদি কাওয়াখালির মঞ্চে আসেন। মোদির দুটি আসনের পাশেই মঞ্চে বসেছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মোদির সঙ্গে অভিজিৎকে পরিচয় করিয়ে দেন শুভেন্দু অধিকারী। এই প্রথম বার খুব কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে দেখলেন প্রাক্তন বিচারপতি। মোদি হাত বাড়িয়ে দেন করমর্দনের জন্য। অভিজিৎ শুধু হাত মিলিয়ে ক্ষান্ত থাকেননি। আসন ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে দু’হাতে মোদির বাড়ানো হাত ধরে নিজের কপালে ছোঁয়ান। আর একেবারে সভার শেষে মোদির কাছ থেকে সাহসের শংসাপত্রও পেলেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি। অভিজিতের হাত দু’টি ধরে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন মোদি। মোদি অভিজিতের সাহসের প্রশংসা করেছেন। বলেছেন, ‘‘আপনে বহত হিম্মত দিখায়া।’’ অর্থাৎ, বিচারপতি থাকার সময়ে অভিজিৎ প্রচুর সাহস দেখিয়েছেন বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিন অসম এবং অরুণাচল সফর সেরে শিলিগুড়ি পৌঁছতে কিছুটা দেরি হয় নরেন্দ্র মোদির। ঠিক ছিল, বিমানবন্দরে নেমে তিনি সড়কপথে কাওয়াখালিতে কর্মসূচির মঞ্চে আসবেন। কিন্তু রাস্তার পাশে মানুষের উৎসাহ দেখে তিনিই চালককে বলেন, ধীরে গাড়ি চালাতে।