উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: “ক্ষমতা থাকলে রাজ্যপাল নিজের চেম্বারের ছবি দেখান। সেখানে উনি মেয়ের বয়সি মেয়ের সঙ্গে কী আচরণ করেছিলেন? তাহলেই তো সবটা স্পষ্ট হয়ে যাবে!” মনোনয়ন জমা দিতে এসে এই ভাষাতেই রাজ্যপালকে আক্রমণ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত ২ মে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন রাজভবনেরই এক অস্থায়ী মহিলা কর্মী। হেয়ারস্ট্রিট থানায় অভিযোগও দায়ের করেন ওই মহিলা। সেদিনই অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন সি ভি আনন্দ বোস। যদিও পুলিশ অভিযোগ পেয়ে ঘটনার অনুসন্ধান শুরু করে। রাজভবনের সিসিটিভি ফুটেজও চেয়ে পাঠায় পুলিশ। কিন্তু রাজ্যপালের সাংবিধানিক রক্ষাকবচ থাকায় পুলিশ এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করতে পারেন নি। এদিকে পুলিশকে এই ঘটনা নিয়ে কোনও রকম সহযোগিতা করতে রাজভবনের কর্মচারীদের বারণ করে দেন রাজ্যপাল। এরপরই সেদিনের ঘটনার ফুটেজ নিজেই জনসমক্ষে নিয়ে আসেন সি ভি আনন্দ বোস। সেই ফুটেজে অভিযোগকারীনিকে রাজভবনের চত্বরে হেঁটে ওসির ঘরের দিকে যেতে দেখা যায়। কিন্তু সেই ফুটেজে রাজ্যপালের চেম্বার বা করিডরের কোনও ছবি ছিল না।
যা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক বলেন, “রাজ্যপাল হিসেবে জগদীপ ধনকড়কে দেখেছিলাম। কিন্তু নিজের মেয়ের বয়সি মেয়েকে চাকরির টোপে শ্লীলতাহানি করছেন! এত নীচে কোনও রাজ্যপালকে নামতে দেখিনি। উনি শুধু নিজেকে অসম্মানিত করেননি, রাজ্যপালের চেয়ারের গরিমাকেও নষ্ট করেছেন।” এর পাশাপাশি রাজ্যপালের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারকে শীর্ষ আদালতে যাওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবিধানিক সুরক্ষাকে কাজে লাগিয়ে উনি শ্লীলতাহানি করবেন, এটা মেনে নেওয়া যায় না। আইনি পথেই এর বিচার জরুরি।