উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ পুরনিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ফের সক্রিয় সিবিআই। দুর্নীতির তদন্তে এবার সিবিআই হাজির পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের দুয়ারে। কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা হানা দিয়েছেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের বাড়িতেও। সিবিআইয়ের এই হানা নিয়ে সুর চড়িয়েছে তৃণমূল। কেন্দ্রীয় বকেয়া আদায়ে তৃণমূলের চাপ সহ্য করতে না পেরেই কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে হাতিয়ার করেছে বিজেপি। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এমনই মত পোষণ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনা হিট। বিজেপি চাপে পড়েছে বলেই কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে আসতে হয়েছে।’
জানা গিয়েছে, পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে সিবিআই। রবিবার সাত সকালে এই কেন্দ্রীয় এজেন্সি একযোগে হানা দিয়েছে চেতলা, ভবানীপুর, দক্ষিণেশ্বর, হালিশহর ও কৃষ্ণনগরে। এই হানা প্রসঙ্গে রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, কেন্দ্রীয় বকেয়া আদায়ে রাজভবনের সামনে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্ণায় বসায় চাপ বেড়েছে বিজেপির। এই চাপ থেকে মুক্তি পেতেই এজেন্সিকে নামানো হয়েছে। তাছাড়া ১০০ দিনের কাজের টাকা বকেয়া রাখার ইস্যু থেকে মুখ ঘোরাতেই আজ এই হানা বলে তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের ব্যাখ্যা।
সিবিআইয়ের হানা প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, , ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনা হিট। বিজেপির উপর চাপ বাড়ছে। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে আসতে হয়েছে, তাতেও ফল শূন্য। রাজ্যপাল কোণঠাসা, পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। নজর ঘোরাতেই রাজনৈতিক পরিকল্পনায় আবার নামানো হল এজেন্সিকে। বিজেপির আত্মরক্ষার অস্ত্র। এই করে তৃণমূলকে দমানো যাবে না।’