উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: অভিষেককে তলব প্রসঙ্গে এই প্রথম ১২টি দলকে পাশে পেল তৃণমূল। অভিষেককে ইডির তলব প্রসঙ্গে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক থেকে উঠে এল প্রতিহিংসার তত্ত্ব। ইডির তলব প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ার সমন্বয় কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি অভিষেক। তাঁর চেয়ার ফাঁকা রেখেই শরদ পাওয়ারের বাড়িতে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক শুরু হয়। বৈঠক শেষে কংগ্রেস নেতা কেসি বেণুগোপাল বলেন, ‘‘সমন্বয় কমিটির সদস্য অভিষেককে আজকেই তলব করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এই ঘটনা কেন্দ্রের প্রতিহিংসার রাজনীতির উদাহরণ।’’ ‘ইন্ডিয়া’র তরফে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতেও ‘বিজেপির প্রতিহিংসার রাজনীতি’র প্রসঙ্গ রাখা হয়েছে। এদিন বেনুগোপাল জানান, অক্টোবরে ভোপালে ইন্ডিয়া জোটের প্রথম জনসভা হবে। সেই সঙ্গে তিনি জানান, যত দ্রুত সম্ভব আসন সমঝোতার বিষয়ে তাঁরা আলোচনা করবেন।
এদিন বৈঠকের শুরুতেই শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত জানিয়ে দিয়েছিলেন অভিষেক রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। তাঁর আসন ফাঁকা রেখেই বৈঠক হবে। কথামতোই পিডিপি নেতা মেহবুবা মুফতির পাশের চেয়ারটিই রাখা হয়েছিল অভিষেকের জন্য। শেষ পর্যন্ত গোটা ইন্ডিয়া জোটই অভিষেকের পাশে দাঁডায়। যা কিনা তৃণমূলের রাজনৈতিক ভাবে বড় জয় বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। কারণ বিভিন্ন মামলায় অভিষেককে ইডি এর আগেও তলব করলেও একযোগে দেশের এতগুলো বিরোধী দল তলবের নিন্দা করেনি। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এদিন সিপিআইয়ের তরফে ডি রাজাও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তবে সিপিএম প্রত্যাশিত ভাবেই বৈঠকে কোনও প্রতিনিধি পাঠায়নি। এমনকি প্রতিনিধির নামও ঘোষণা করা হয়নি দলের তরফে।