চাঁচলঃ বিদ্যুতের খুঁটি বসাতে গিয়ে হাই ভোল্টেজ তারের সংস্পর্শে এসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক কর্মীর। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে গেছে চাঁচল ১ ব্লকের মহানন্দপুর দক্ষিণপাকা মল্লিক পাড়া গ্রামে। এই ঘটনায় জখম হয়েছেন আরও ৬ কর্মী। হতাহতরা প্রত্যেকেই ঠিকাদারি সংস্থার কর্মী। ঘটনার পর হতাহতদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। মৃতদেহটিকে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে মালদা মেডিকেল কলেজে।
জানা গিয়েছে, চাঁচল ১ ব্লকের মহানন্দপুর দক্ষিণপাকা মল্লিক পাড়া গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য নতুন একটি বিদ্যুতের খুঁটি বসানোর কাজ চলছিল। রাজ্য সরকারের হাই ভোল্টেজ ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম প্রজেক্টের আওতায় কাজটি হচ্ছিল। এই কাজের দায়িত্বে ছিল একটি বেসরকারি সংস্থা। মঙ্গলবার বিকেলে কাজ চলাকালীন খুঁটির পাশ দিয়ে যাওয়া ১১ হাজার ভোল্টের তারের সংস্পর্শে আসে খুঁটির উপরে থাকা সাতজন কর্মী। বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে প্রত্যেকেই নিচে ছিটকে পড়ে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় আবু তালেব (৩৭) নামে এক কর্মী। বাকিদের উদ্ধার করে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেখানেই ৬ জনের চিকিৎসা চলছে। এই ঘটনায় রাজকুমার রাজবংশী এবং আনসার আলী নামে দুই কর্মীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকি আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।
এদিকে এই দুর্ঘটনায় বিদ্যুৎ দপ্তর এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার ভূমিকা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। শহীদ আলী নামে এক বিদ্যুৎ কর্মী বলেন, “আমরা পোলে কাজ করছিলাম। হঠাৎ কি হল বুঝতে পারলাম না। শক খেয়ে নিচে ছিটকে পড়েছি। আমার হাত ও পায়ে আঘাত লেগেছে। আমাদের মধ্যে একজন মারা গেছে। দুইজনের আঘাত বেশ গুরুতর। আমরা সবাই ঠিকাদারের অধীনে কাজ করতাম।”
মৃত বিদ্যুৎ কর্মী আবু তালেবের বাবা জাফর আলী জানান, “তাঁর ছেলে সংসারের একমাত্র রোজগেরে সদস্য ছিল। এখানে কাজে এসেছিল। ঠিকাদারের অধীনে চুক্তিভিত্তিক কাজ করতো। আমরা ক্ষতিপূরণের দাবি জানাচ্ছি।”
এই প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ দপ্তরের রিজিওনাল ম্যানেজার উজ্জ্বল রায় জানান, “দুর্ঘটনার খবর আমার কাছেও এসেছে। সেখানে আমাদের দপ্তরের লোকেরা গেছে। এই নিয়ে তদন্ত করা হবে। কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না এলে মৃত্যুর কারণ বলা যাবে না।”