মুর্শিদাবাদ: মৃত্যুর তিন মাস পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে তোলা হল এক ব্যক্তির দেহ। মৃতের স্ত্রীয়ের করা মামলার জেরে ময়নাতদন্তের জন্য বহরমপুর আদালতের মঙ্গলবার এই নির্দেশ জারি করে। ঘটনাটি মুর্শিদাবাদের ডোমকলের শীতলনগরের।
সূত্রের খবর, মৃত ব্যক্তির নাম রফিকুল হাসান মিয়াঁ (৫৬)। গত বছর ২৮ নভেম্বর অস্বাভাবিক মৃত্যু (Unnatural Death) হয় তাঁর । মৃতের স্ত্রী টুনটুনা খাতুন বিবির অভিযোগ, “ঘটনার দিন সকালে আমার দেওর আজিজুল মিয়াঁ, ননদ সুর্মিলা বিবি ও জা আম্বিয়া বিবি সহ আরও দু’জন ঘুমের ওষুধ খাইয়ে স্বামীকে অচেতন (Senseless) করে। তারপর ওরাই চিকিৎসার (Treatment) জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়। টাকা জোগাড় করে আমি ও আমার ছেলে ডোমকল হাসপাতালে যাই। গিয়ে দেখি কেউই নেই সেখানে। স্বামীকেও ভর্তি করানো হয়নি বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রাতে বাড়িতে ফিরে দেখি ঘরে স্বামীর দেহ ঘরে পড়ে রয়েছে। কীভাবে মারা গেল জানতে চাওয়া হলে, ওরা বলে জ্বরে মারা গিয়েছেন। তড়িঘড়ি মৃতদেহ কবর দিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। পরে জানতে পারি, স্বামীকে রেজিস্ট্রি অফিসে নিয়ে গিয়ে বাড়ির আট শতক জমি নিজেদের নামে লিখেয়ে নিয়েছিল পরিজনেরা। আর তারপরই আমার স্বামীকে মেরে ফেলা হয়।”
এই ঘটনার বেশ কিছুদিন পর জমি ফেরতের দাবি করে মৃতের ছেলে ও স্ত্রী। দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ শুরু হলে সালিশি সভা বসিয়ে ঝামেলা মেটানোর চেষ্টা হয়। কিন্তু অভিযুক্ত পক্ষ না মানায় মৃতের স্ত্রী বহরমপুর আদালতে স্বামীকে খুনের অভিযোগে মামলা (Case) করেন। তা জেরেই আদালতের নির্দেশে মঙ্গলবার দুপুরে মৃত্যুর ৯৬ দিন পর কবর থেকে দেহ তোলা হয়।
যদিও এসম্পর্কে তাঁদের এক আত্মীয় আম্বিয়া বিবি বলেন, “মৃত সম্পর্কে আমার ভাশুর হতেন। সেদিন জ্বরে অচেতন হয়ে পড়েছিলেন। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকেরা জানায় ওঁকে আইসিইউতে ভর্তি করা দরকার। তবে জায়গা না পেয়ে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করারও চেষ্টা করা হয়। কিন্তু এর মধ্যেই তিনি মারা (Dead) যান।”