দীপঙ্কর মিত্র, রায়গঞ্জ: কৃষি দপ্তরে চাকরি দেওয়ার নামে ভুয়ো নিয়োগপত্র দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতির ভাগ্নের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি নাম জড়িয়েছে অঞ্চল সভাপতি ও তাঁর দাদারও। রায়গঞ্জ ব্লকের ১৪ নম্বর কমলাবাড়ির কসবা মাহেসো এলাকার ঘটনা।
প্রতারিত চাকরি প্রার্থীদের অভিযোগ, দুই মামার উপস্থিতিতে ভাগ্নে চাকরির নামে তাঁদের থেকে টাকা নিয়েছে। চাকরি না হওয়ায় টাকা ফেরতের দাবিতে শনিবার প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি উত্তম ঘোষের বাড়ির গেটের সামনে ধর্নায় বসেন চাকরি প্রার্থীরা। ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়ালে কর্ণজোড়া ফাঁড়ির পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিষয়টি জানাজানি হতেই গ্রামের মানুষ সেখানে ভিড় করে।
চাকরি প্রার্থীদের অভিযোগ, উত্তমবাবুর ভাগ্নে মিঠুন ঘোষ মামাদের রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে কৃষি দপ্তরে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মী পদে চাকরি দেওয়ার নামে ১১ লক্ষ করে টাকা নিয়েছে। সে নিজে স্থানীয় একটি বেসরকারি বিএড কলেজে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী পদে কর্মরত। অভিযোগ, মিঠুন টাকা নিলেও আসল কোনও নিয়োগপত্র দিতে পারেনি। টাকা নেওয়ার কিছুদিন পর নিয়োগপত্র দিলেও দেখা যায়, সেই সব ভুয়ো। চাকরি প্রার্থীরা জানান, এরপর থেকে মিঠুন তাঁদের সঙ্গে আর দেখা করছে না। প্রতারিত চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে এদিন তাঁদের পরিবারের সদস্যরাও তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতির বাড়িতে আসেন। তাঁরা দাবি জানাতে থাকেন, উত্তমবাবু সব জানেন। জেনেশুনেও তিনি চুপ।
এদিন উত্তমবাবু প্রথমে প্রকাশ্যে না এলেও পরে সাংবাদিকদের চাপে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন। তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। টাকা লেনদেনের ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। সত্যিটা অবশ্যই প্রকাশ পাবে।’
উত্তমবাবু আরও বলেন, ‘মিঠুন টাকা নিলে সেই জবাব মিঠুনই দেবে। আমরা শুনেছি ও টাকা নিয়েছে। কীজন্য নিয়েছে সেটা ওই বলতে পারবে।’ মিঠুনের বাড়ি উত্তমবাবুদের পেছন দিকে। তার বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। মিঠুনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন বন্ধ থাকায় কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।