উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ এবারের লোকসভা নির্বাচনে ইন্দ্রপতন হয়েছে বহরমপুর কেন্দ্রে। গত পাঁচ বারের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী হেরে গিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠানের কাছে। তাহলে কি এবার রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন অধীর? না কি তাঁকেই ফের বসানো হবে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির পদে?
বাংলার এই বর্ষীয়ান নেতার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কী? কংগ্রেস বাংলায় বামেদের সঙ্গে জোট করেও ভরাডুবি আটকাতে পারেনি। বহরমপুর কেন্দ্রে হেরে গিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা গত পাঁচ বারের সাংসদ অধীর চৌধুরী। একমাত্র দক্ষিণ মালদা কেন্দ্রে কংগ্রেসের ইশাখাঁ চৌধুরী জিতে বাংলায় মান রেখেছেন।
ভোটের আগে অধীর চৌধুরী বলেছিলেন, তৃণমূল কংগ্রেস তাঁকে হারাতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। মাঠে গিয়ে বাদাম বেচবেন। লোকসভা ভোটে হেরে যাওয়ার পরেই নিজের অবস্থান বদল করেছেন। অধীর বলেন, ‘আমি আগেই বলেছিলাম, আমার বদলে কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হোক। আমি তো হারলাম। আমি চাই, পর্যালোচনা হোক। আমার থেকে যোগ্য ব্যক্তিকে খোঁজা হোক।’ মুখে এই কথা বললেও এখন রাজনীতি ছাড়ছেন না অধীর। এখন বলছেন, রাজনীতি ছাড়া আর কিছু করতে তিনি শেখেননি। এখনও স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পদত্যাগপত্র কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের কাছে পাঠাননি। বদলে হারের পর নয়াদিল্লি গিয়ে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের সঙ্গে দেখাও করেছেন তিনি।
টানা পাঁচবারের সাংসদ হওয়ায় নয়াদিল্লিতে অধীর সরকারি বাংলো পেতেন। সেই বাংলো এবার ছেড়ে দিতে হবে। লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা থাকায় এতদিন অধীর কেন্দ্রীয় নিরাপত্তাও পেতেন। এখন থেকে আর এই সব সুবিধা তিনি পাবেন না।
এদিকে কংগ্রেসের অন্দরে কানপাতলে শোনা যাচ্ছে, লোকসভা নির্বাচনে হারলেও প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি পদে এই মুহূর্তে থেকে যাচ্ছেন অধীর চৌধুরীই। রাজ্যে কংগ্রেসের বিপর্যয় সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে এআইসিসি’র বিশেষ টিম আসবে। তাতে কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতারা থাকবেন। প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সদস্য, জেলা সভাপতিদের সঙ্গে কথা বলে পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে সার্বিক রিপোর্ট মল্লিকার্জুন খাড়গে, রাহুল গান্ধিদের কাছে জমা দেবে এই টিম। ২০১৯ সালের তুলনায় দেশে কংগ্রেসের আসন সংখ্যা অনেক বাড়লেও মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, পশ্চিমবঙ্গ–সহ কয়েকটি রাজ্যে কংগ্রেসের বিপর্যয় অব্যাহতই রয়েছে।