মেখলিগঞ্জ: নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সমস্যা মিটিয়ে নিতে হবে। আলোচনার মাধ্যমে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা পনেরো দিনের মধ্যে বিস্তারিত রিপোর্ট প্রশাসনের কাছে জমা করতে হবে। এরপরও বৈদেশিক বাণিজ্যের কাজে কোনওরকম বাধা সৃষ্টি হলে প্রশাসনের তরফে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দরের বৈদেশিক বাণিজ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে বৃহস্পতিবার বৈঠক ডেকেছিল মেখলিগঞ্জ মহকুমা প্রশাসন। সেই বৈঠকে চ্যাংরাবান্ধা সীমান্তের বৈদেশিক বাণিজ্যের কাজের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিদের ডেকে এমনটাই বলেন প্রশাসনিক কর্তারা।
মহকুমা শাসকের কনফরেন্স হলে এদিনের বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বেশকিছুদিন থেকেই চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দরে ট্রাক থেকে বেআইনিভাবে টাকা তোলার অভিযোগ তুলে আসছেন ট্রাক মালিক তথা ব্যবসায়ীদেরই একটি অংশ। বিষয়টি নিয়ে সীমান্তে বারবার ঝামেলা হওয়ায় অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়। এতে বৈদেশিক বাণিজ্যের কাজেও বিঘ্ন ঘটে। এরপরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। এদিন প্রশাসনের তরফে সমস্যা মেটাতে ১৫ দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়। তবে তাতে আদৌ সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
এদিনের বৈঠকে চ্যাংরাবান্ধা ট্রাক মালিক সমিতি, ট্রাক বাঁচাও কমিটি, এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা ছিলেন। এছাড়াও চ্যাংরাবান্ধা সীমান্তে পণ্যবাহী ট্রাক থেকে বেআইনিভাবে টাকা তোলার অভিযোগ আনা ব্যবসায়ী চিত্তগোপাল মণ্ডলকে ডাকা হয়। এছাড়া মাথাভাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত ভার্মা, মহকুমা শাসক রাম কুমার তামাং, বিডিও অরুণ কুমার সামন্ত, পুলিশের সার্কেল ইনস্পেক্টর পূরণ রাই, ওসি রাহুল তালুকদার প্রমুখের উপস্থিতিতে আলোচনা করা হয়েছে।
বৈঠক শেষে ব্যবসায়ী চিত্তবাবু বলেন, ‘ট্রাক মালিক সমিতির তরফে যেসব ট্রাক আটকে রাখা হয়েছিল সেগুলি বাংলাদেশে রপ্তানির ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। তবে আমার দাবি বেআইনি টাকা আদায় বন্ধ করতে হবে।’ যদিও চিত্তবাবুর অভিযোগকে আগেই ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন চ্যাংরাবান্ধা ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি মজিদ ইসলাম। চ্যাংরাবান্ধা এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিমল কুমার ঘোষ জানান, বৈদেশিক বাণিজ্যের কাজে যাতে কোনওরকম সমস্যা তৈরি না হয় সেটা প্রশাসনের তরফে দেখতে বলা হয়েছে। কোনও সমস্যা হলে তিন সংস্থাকে বসে আলোচনা করে মিটিয়ে নিতে বলা হয়েছে।