নিউজ ব্যুরো: চন্দ্রযান-৩ মিশন সফল। চন্দ্রবিজয়ের পর এবার সূর্যে নজর ইসরোর। ২ সেপ্টেম্বর সূর্যের দিকে উড়ে যাবে ইসরোর আদিত্য এল-১। সূর্যের ওপর নজরদারি চালাতে এটিই ভারতের প্রথম অভিযান। চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযানের সফল অবতরণের পর এবার আদিত্য এল-১ নিয়েও আশায় বুক বাঁধছে দেশবাসী।
সূর্যের উপরিভাগের বায়ুমণ্ডলীয় (ক্রোমোস্ফিয়ার ও করোনা) গতিবিদ্যা, আংশিকভাবে আয়নিত প্লাজমা এবং ক্রোমোস্ফিয়ারিক ও করোনাল তাপমাত্রা, সৌর কণার গতিবিদ্যা, সৌর করোনার পদার্থবিদ্যা ও এর গরম হওয়ার প্রক্রিয়া, করোনা এবং করোনার লুপ প্লাজমার তাপমাত্রা, বেগ, ঘনত্ব, সৌর বিস্ফোরণ, সৌর বায়ুর উৎস সহ একাধিক বিষয় পর্যবেক্ষণ করাই আদিত্য এল-১ মিশনের মূল উদ্দেশ্য।
চন্দ্রযানের থেকে প্রায় পাঁচগুণ বেশি পথ পাড়ি দেবে আদিত্য এল-১। এল-১ এর অর্থ ল্যাগ্রাঞ্জ পয়েন্ট-১। প্রায় ১৪০ দিনের যাত্রাপথের শেষে কার্যত একটি শূন্যস্থানে মহাকাশযানটিকে স্থাপন কবেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা।
প্রসঙ্গত, ২৩ অগাস্ট, বুধবার ঠিক সন্ধ্যা ৬টা ৪মিনিটে চাঁদের মাটিতে পা রেখেছিল চন্দ্রযান-৩ এর ল্যান্ডার বিক্রম। চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে যে অংশে বিক্রম অবতরণ করেছে, আগে অন্য কোনও দেশ সেখানে পৌঁছোতে পারেনি। ২৪ অগাস্ট ভোরে ল্যান্ডার থেকে নেমেছিল রোভার প্রজ্ঞান। তার পর থেকেই এই যান চাঁদে অনুসন্ধান চালাচ্ছে।
চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ইতিমধ্যেই মিলেছে অক্সিজেনের অস্তিত্ব। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক্স (টুইটার) হ্যান্ডলে এই খবর জানায় ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)। ইসরো বলেছে, চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে অক্সিজেনের পাশাপাশি সালফার, অ্যালুমিনিয়াম, ক্যালশিয়াম, লোহা, ক্রোমিয়াম, টাইটেনিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সিলিকনের অস্তিত্বও মিলেছে। রোভার প্রজ্ঞান এটা নিশ্চিত করেছে।
ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, এবার চাঁদে হাইড্রোজেনের খোঁজ চালাচ্ছে প্রজ্ঞান। চাঁদে ওই সমস্ত ধাতুর অস্তিত্ব এবং বিশেষ করে অক্সিজেনের হদিস মেলায় তা মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে এক নয়া দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
চন্দ্রযানের সাফল্যে ভর করে এবার সূর্যদেবকেও ‘নজরবন্দি’ করে ফেলতে চাইছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। আর তাতে সফল হলে যে ভারত মহাকাশ গবেষণায় আরও একধাপ এগিয়ে যাবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।