ফাঁসিদেওয়া: মেলা ঘুরিয়ে আনার পর ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে স্ত্রীকে খুন! শুক্রবার গভীর রাতে হাড়হিম করা ঘটনাটি ঘটেছে ফাঁসিদেওয়া ব্লকের কোকড়াজোত এলাকায়। খুনের পর ফাঁসিদেওয়া থানায় আত্মসমর্পণ করেছে স্বামী রঞ্জিত সোরেন (২৮)। সে পেশায় রাজমিস্ত্রির সহকারী। তার বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। শনিবার ধৃতকে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক জেল হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর তিনেক আগে বিধাননগরের পাইকপাড়ার গীতা হেমব্রম (২২)-এর সঙ্গে সামাজিক মতে বিয়ে হয় রঞ্জিতের। তাঁদের দেড় বছরের একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে। তবে কিছুদিন ধরে নানা বিষয়ে দম্পতির মধ্যে বিবাদ চলছিল। রবিবার সালিশি বসারও কথা ছিল। তার আগেই শুক্রবার রাতে স্ত্রী-সন্তানকে ফাঁসিদেওয়ার ধাম মেলা ঘুরিয়ে আনে রঞ্জিত। ছেলে ঘুমিয়ে পড়ার পর রঞ্জিত এবং গীতার বচসা বাধে। অভিযোগ, এরপর রাগের বশে ঘরে থাকা ধারাল অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীর গলায় কোপ দেয় স্বামী। খবর পেয়ে ফাঁসিদেওয়া থানার ওসি সুমনকল্যাণ সরকারের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছোয়। গীতাকে উদ্ধার করে ফাঁসিদেওয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এদিন দেহ ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এদিকে, সকাল হতেই মৃতার পরিবার সহ প্রায় শতাধিক আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ তীর-ধনুক হাতে থানায় হাজির হয়। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ দিয়ে মুড়ে ফেলা হয় থানা চত্বর। ঘটনার পর কোকড়াজোতেও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ওসি সুমনকল্যাণ সরকারের মন্তব্য, তদন্ত চলছে। দোষীর উপযুক্ত শাস্তির জন্য সমস্ত পদক্ষেপ করা হবে।