উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: শিয়রে শমন! চার রাজ্যের বিধানসভা ভোটে ফলাফলের ইঙ্গিত পেতেই কপালে ভাঁজ পড়েছে কংগ্রেসের। কর্নাটক নির্বাচনের পর উচ্ছ্বসিত কংগ্রেস শিবির এখন অনেকটাই ম্রিয়মান। দুপুর গড়াতে না গড়াতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে দেওয়াল লিখন। হিন্দি বলয়ের ৩ রাজ্যে ক্ষমতায় আসছে বিজেপিই। রাজস্থান ছত্তিশগড়়ে কংগ্রেসকে হারিয়ে তাঁরা ক্ষমতা দখল করছে। অন্যদিকে মধ্যপ্রদেশে তাঁরা ফের একবার ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে। এরপরই তড়িঘড়ি ‘ইন্ডিয়া ’, জোটের বৈঠক ডাকতে চলেছে কংগ্রেস। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিনে বৈঠক চেয়ে বিরোধী নেতাদের ফোন করতে শুরু করেছেন কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। ইতিমধ্যে তৃণমূল-ডিএমকের মতো বিরোধী দলগুলোর কাছে খাড়গের ফোন গিয়েছে বলে সূত্রের খবর।
উল্লেখ্য ৩ মাস আগে মুম্বইতে শেষ বৈঠক হয় ইন্ডিয়া জোটের। তারপর থেকে আর বৈঠক হয়নি। জেডিইউ নেতা নীতিশ কুমারও কংগ্রেসর সমালোচনা করেছিলেন। জানিয়েছিলেন কংগ্রেস পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত। কিন্তু এবার কংগ্রেস নিজে থেকেই ৬ ডিসেম্বর বৈঠক চাইছে। ৬ ডিসেম্বর দিনটির আলাদা তাৎপর্য রয়েছে। এই দিন বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলা হয়েছিল। ফলে ওই দিনে বৈঠক করে বিজেপিকে বার্তা দিতে চাইছে কংগ্রেস শিবির।
অন্যদিকে সামনেই ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। স্বাভাবিকভাবেই তারপরই লোকসভা নির্বাচনের জিগির তুলবে গেরুয়া শিবির। তাই আগেভাগেই তার মোকাবিলার ছক কষে নিতে চাইছে কংগ্রেস। তবে নানা কারণে ইন্ডিয়া জোটের মধ্যে যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে তা মিটিয়ে নেওয়াও কংগ্রেসর লক্ষ। কংগ্রেসর প্রতি ক্ষুব্ধ নিতীশ কুমার, সমাজবাদি পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব সহ শরিক দলের অনেকেই। তৃণমূলও দ্রুত আসন সমঝোতার কাজ না সেরে ফেলায় কংগ্রেসকে সমালোচনায় বিধেছে। তাই আগামী বৈঠকে কংগ্রেসের ভূমিকায় প্রশ্ন উঠতে পারে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।