মণীন্দ্রনারায়ণ সিংহ, আলিপুরদুয়ার: গত সেপ্টেম্বরে আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) বক্সার (Buxa) জয়ন্তীতে জঙ্গল সাফারির জন্য ১৫ বছরের বেশি পুরোনো ৪০টি সাফারি কার একসঙ্গে বাতিল করা হয়েছে। ফলে কয়েকমাস ধরে হাতেগোনা কয়েকটি গাড়ি দিয়ে কোনওরকম পর্যটকদের সাফারি করানো হচ্ছিল। সাফারির সুযোগ না পেয়ে জয়ন্তী থেকে বহু পর্যটকও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। তবে এবার ফের পর্যটন ঘুরে দাঁড়ানোর আশায় জয়ন্তীর পর্যটন ব্যবসায়ীরা। জয়ন্তীতে জঙ্গল সাফারির জন্য ছয়টি আধুনিক সাফারি কার আনলেন সাফারি কার মালিকরা। শীঘ্রই আনুষ্ঠানিকভাবে কারগুলি চালু করা হবে। ডুয়ার্স ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সভাপতি পার্থসারথি রায়ের কথায়, ‘জয়ন্তীতে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণ জঙ্গল সাফারি। পুরোনো গাড়ি বাতিল হওয়ায় জঙ্গল সাফারির ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তবে এবারে নতুন গাড়ি আসায় জয়ন্তীর পর্যটনও চাঙ্গা হবে।’
কয়েকমাস আগে প্রায় ৪০টি সাফারি কার বাতিল হওয়ার পর জয়ন্তীতে মাত্র পাঁচটি সাফারি কার ও রাজাভাতখাওয়া থেকে দুটি সাফারি কারে পর্যটকরা বক্সার জঙ্গল ঘুরে দেখছিলেন। তবে পর্যটকদের চাহিদার তুলনায় গাড়ির সংখ্যা কম হওয়ায় এ বছর পুজোতে জয়ন্তীতে পর্যটকদের ভিড় তুলনামূলকভাবে কমেও গিয়েছিল। এতে স্বাভাবিকভাবেই মুখ থুবড়ে পড়েছিল ব্যবসা। এখন ছয়জন সাফারি কার মালিক আধুনিক কার কিনেছেন। এতে আশার আলো দেখছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
পুনে (Pune) থেকে আধুনিক মডেলের সাফারি গাড়িগুলি আনা হয়েছে। সাফারি গাড়ির মালিক কোরবান খান বলেন, ‘আমাদের পুরোনো গাড়িগুলো বাতিল হওয়ায় কার্যত বেকার হয়ে গিয়েছিলাম। তাই ঋণ করে নতুন আধুনিক গাড়ি কিনেছি। খরচ হয়েছে প্রায় ১৮ লক্ষ টাকা।’
জয়ন্তীর আরেক সাফারি গাড়ির চালক সাগর চৌহান বলেন, ‘পর্যটকদের চাহিদার তুলনায় গাড়ির সংখ্যা কম হওয়ায় অনেক পর্যটককে সাফারি করাতে না পারায় খারাপ লাগতে। তবে এখন নতুন ছয়টি গাড়িতে পর্যটকদের ওই পরিষেবা দেওয়া হলে বাড়তি সুবিধাই মিলবে।’ একই কথা বলেন গাইড অনুপ প্রসাদ। এ ব্যাপারে জয়ন্তীর রেঞ্জ অফিসার আনন্দ বিশ্বাস বলেন, ‘নতুন গাড়ি আসায় জয়ন্তীতে সাফারি করতে পর্যটকদের সুবিধা হবে।’