বালুরঘাট: নদীর মাঝে বাঁশের সাঁকো। যেটা দিয়ে চলাচল করেন হাজার হাজার মানুষ। তবে সেই সাঁকো দিয়ে চলাচলের জন্য ভাড়া গুনতে হয় তাদের। কিন্তু সাঁকো পারাপারের জন্য পাঁচ টাকা ধার্য করা হলেও কখনও ১০ টাকা আবার কখনও ১৫ টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে যাত্রীদের অভিযোগ। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে বাসিন্দারা বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আত্রেয়ী নদী দুই ভাগে ভাগ করেছে বালুরঘাটকে। পূর্ব প্রান্তের রঘুনাথপুর ও পশ্চিমের কালিকাপুর গ্রাম। মাঝে একটি বাঁশের সাঁকো দিয়েই নিত্যদিনের যাতায়াত বাসিন্দাদের। মূলত কালিকাপুর এলাকার সবজি ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ পড়ুয়ারা এই সাঁকো পেরিয়েই বালুরঘাট শহরে আসেন। শহর সংলগ্ন রঘুনাথপুর-কালিকাপুর সংযোগকারী আত্রেয়ী নদীতে বাঁশের সাঁকোর বদলে পাকা সেতুর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। পাশাপাশি গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বাসের সাঁকো পারাপারের নির্দিষ্ট কোনও ভাড়া নেই। যখন যেমন খুশি ইচ্ছে মতো অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে পারাপারের জন্য।
ঘাট কর্তৃপক্ষের তরফে উত্তম ঘোষ জানান, ‘সাঁকোতে যাতায়াতের জন্য পাঁচ টাকা নেওয়া হয়। আগে সারা বছরের জন্য একসঙ্গে টাকা নেওয়া হত। সেটা এখন উঠে গিয়েছে। সাঁকো তৈরি করতে অনেক টাকা খরচ হয়েছে। যাওয়া ও আসার জন্য ভাড়ার কোনও সরকারি তালিকা নেই।’
রোজ সাঁকো পারাপার করেন রবীন্দ্রনাথ মাহাত। তিনি ঘাট কর্তৃপক্ষের দাবি অস্বীকার করে বলেন, ‘ঘাটে ভাড়া সংগ্রহ করা ব্যক্তি মিথ্যা কথা বলছেন। কারণ আমাদের কাছে দশ টাকা করে নেওয়া হয়। কিন্তু কোনও ভাড়ার তালিকা দেওয়া নেই। আমরা চাই সরকারিভাবে ঘাটে ভাড়া নির্ধারণ করা হোক।’
বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অরূপ সরকার জানান, ‘ওই ঘাটে বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে বলে আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ এসেছে। ঘাট মালিকরা এমনটা করতে পারেন না। আমি সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের সঙ্গে সোমবার এলাকায় গিয়ে বিষয়টি তদারকি করে দেখব। এই নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে।’