প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়, বর্ধমান: গোরু পাচার, কয়লা পাচার, রেশনের চাল পাচার, এসব নিয়েই এখন এই রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে গলা ফাটাচ্ছে বিরোধীরা। আর সেই অবস্থার মধ্যেই এবার তোলপাড় ফেললো সরকারী হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ পাচারের চেষ্টার ঘটনা। যা নিয়ে বুধবার চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এই ঘটনায় মৃতদেহ বহনকারী গাড়ির চালক সহ ৭ জন কে হাতে নাতে পাকড়াও করেছে হাসপাতালের নিরাপত্তা কর্মীরা। পাকড়াওয়ের তালিকায় বর্ধমান মেডিকেল কলেজের চার কর্মীও রয়েছে।
বর্ধমান হাসপাতাল সূত্রে পাওয়া খবর, বুধবার সকালে মেডিকেল কলেজের অ্যানাটমি বিভাগের মৃতদেহ রাখার ঘর থেকে তিনটি দেহ লোপাট করা হচ্ছিল মৃতদেহ বহনকারী গাড়িতে করে। কিন্তু পাচারের আগেই তা ধরা পড়ে যায়। নিরাপত্তা কর্মীদের তৎপরতায় তিনটি মৃতদেহ সহ গাড়িটি হাতেনাতে ধরা পড়তেই হাসপাতালে উত্তেজনা তৈরি হয়। খবর পেয়ে বর্ধমান থানার পুলিশ যায় মেডিকেল কলেজে। পুলিশ মৃতদেহ পাচারের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মেডিকেল কলেজের চার কর্মী সহ মৃতদেহ বহনকারী ৩ জনকে আটক করে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, মৃতদেহ পাচার করা হচ্ছে এমন খবর জানতে পেরেই তৎপর হয় হাসপালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীরা। তারা তৎপর থাকাতেই বিষয়টি সামনে আসে। এ বিষয়ে বর্ধমান মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল কৌস্তুভ নায়েকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “মৃতদেহ চুরি হচ্ছিল। আমরা পুলিশকে জানিয়েছি।’ আর ডিএসপি ট্রাফিক(২) রাকেশ চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ’এখনই সবটা বলা সম্ভব নয়। আটকদের কে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।’