চ্যাংরাবান্ধা: সরকার নির্ধারিত রাজস্ব জমা দিয়ে নথি পাবার পরেও বাংলাদেশগামী পণ্যবোঝাই ট্রাক থেকে জোরপূর্বক টাকা আদায় করা হচ্ছে। সেই টাকা না দেওয়ার কারণে ট্রাক আটকে দেওয়ার অভিযোগে সোমবার ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দরে। খবর পেয়ে দ্রুত মেখলিগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। চ্যাংরাবান্ধার জনৈক ব্যবসায়ী চিত্তগোপাল মণ্ডল এদিন এনিয়ে সরাসরি চ্যাংরাবান্ধা ট্রাক মালিক সমিতির বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে টাকা আদায়ের অভিযোগ করেন। চিত্তবাবাবু বলেন, ‘বাংলাদেশে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের ‘সুবিধা’ পোর্টালে আবেদন করতে হয়। এরজন্য সরকারি নির্দিষ্ট খাতে তাদের ট্রাক পিছু ন্যূনতম পাঁচ হাজার টাকা করে জমা করতে হয়। এরপরই সংশ্লিষ্ট ট্রাকের বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি মেলে। সেই অনুযায়ী তিনিও সম্পূর্ণ সরকারি নিয়ম মেনে এদিন ট্রাক পাঠাচ্ছিলেন। কিন্তু ট্রাক সীমান্তে যাবার আগেই সার্ক রোডের উপরেই ট্রাক মালিক সমিতির কয়েকজন কর্মী তার ট্রাকের পথ আটকে দেন। এতে বৈদেশিক বাণিজ্যে ব্যাঘাত ঘটে।
চিত্তগোপালের অভিযোগ, সিরিয়াল পরিচালনার নাম করে বেআইনিভাবে বাংলাদেশগামী প্রতিটি ট্রাক থেকেই ট্রাক মালিক সমিতির তরফে ২০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। নির্দিষ্ট দিনে সেই ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ না করতে না পারলে পরদিনও ওই ট্রাকের জন্য আরও ২০০ টাকা দিতে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের।
যদিও বেআইনিভাবে টাকা নেবার অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন চ্যাংরাবান্ধা ট্রাক মালিক সমিতি। তাদের বক্তব্য, এই এলাকায় অ্যাম্বুল্যান্স, পথবাতিসহ বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজও তারা করে থাকেন। যেটা অজানা নয় কারও। এরজন্য তারা ট্রাক মালিক সমিতির সদস্যদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে থাকেন। তাদের নামে বদনাম করতেই মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে। ট্রাক মালিক সমিতির সম্পাদক আব্দুল সামাদ বলেন, ‘এদিন চিত্তগোপাল মণ্ডলের ট্রাক সীমান্তের নিয়মলঙ্ঘন করে যাচ্ছিল। সেই ট্রাক ট্রাক মালিক সমিতির এক কর্মীকে ধাক্কা মারার চেষ্টাও করছিল। মালিক সমিতির কেউ কোনও ট্রাকের পথ আটকায়নি।‘ মাথাভাঙার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত ভার্মা জানিয়েছেন, কোনও লিখিত অভিযোগ পেলে যথাযথ পদক্ষেপ করা হবে।